সাংবাদিককে খুন করে পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর মোটরবাইকেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। —প্রতীকী চিত্র।
নিখোঁজ সাংবাদিক এবং আরটিআই কর্মীর দগ্ধ দেহাংশ মিলল ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গলে। এই ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার ছত্তীসগঢ়ের কবিরধাম জেলার একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় একটি দগ্ধ দেহাবশেষ। একটু দূরে উদ্ধার হয় একটি পোড়া মোটরবাইক। পুলিশের অনুমান, খুনের পর দেহ পোড়ানো হয়। তার পর প্রমাণ লোপাট করতে মোটর বাইকটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ মনে করছে, ওই দেহাংশই নিখোঁজ সাংবাদিক বিবেক চৌবের। ৩২ বছরের সাংবাদিক গত ১২ নভেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। তাঁকে খুন করে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। যাবতীয় প্রমাণ মিলবে ফরেন্সিক পরীক্ষার পর।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিবেককে শেষ বার দেখা গিয়েছিল মোটরসাইকেলে করে তিনি স্থানীয় কুন্দপানি গ্রাম পার হচ্ছিলেন। তার পর আর তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শনিবার মাওবাদী প্রভাবিত এবং মধ্যপ্রদেশ সীমানায় দগ্ধ দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, বিবেকের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল বক্করখর গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের। জেরায় সেটা স্বীকারও করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। তিনি জানান, তর্কাতর্কির সময় রাগে লাঠি দিয়ে সাংবাদিকের মাথায় আঘাত করেন তিনি। তাতে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর প্রমাণ লোপাট করার জন্য বিবেকের দেহ পুড়িয়ে দেন তাঁরা। পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গীরা এর পর মোটরবাইকটি পুড়িয়ে সাংবাদিকের মোবাইল ফোনটা রেখেছিলেন অনেক দূরে।
ওই সাংবাদিক নিখোঁজের পর নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানই। এমনকি, খোঁজ দিলে বড় আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। এতেই সন্দেহ জাগে পুলিশের। কী ভাবে এবং কী কারণে সাংবাদিক এবং আরটিআই কর্মীকে খুন করা হল, তার তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy