নিজের প্রস্রাবের উপর শুয়ে ছিলেন প্রৌঢ়া। প্রতীকী চিত্র।
বাড়ি মালিক ও মালকিনের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি হলেন শিলিগুড়ির এক প্রৌঢ়া। অভিযোগ, সারা শরীরে আঘাত নিয়ে খানিকটা মানসিক সমস্যাতেও ভুগছেন তিনি।
মাস কয়েক আগে পরিচারিকার কাজ নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা রজনী। মাসে সাত হাজার টাকা বেতনে পশ্চিম দিল্লির একটি বাড়িতে কাজ নিয়েছিলেন ৪৮ বছরের ওই প্রৌঢ়া। অভিযোগ, রবিবার তাঁকে বেধড়ক মারধর করে ফেলে রাখেন ওই বাড়ির মালিক ও মালকিন। এমনকি, তাঁর মাথাও মুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হলে ভয় পেয়ে যান ওই দম্পতি। খবর দেওয়া হয় যে সংস্থার মাধ্যমে রজনী ওই কাজে ঢুকেছিলেন, তাদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৭ মে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত নিয়ে সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রজনীকে। অসুস্থ রজনীর বয়ান নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তাঁর উপর বাড়ি মালিক অভিনীত এবং তাঁর স্ত্রী অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছেন। চিকিৎসার রিপোর্ট বলছে, মাথায় আঘাতের ফলে বমি হচ্ছিল প্রৌঢ়ার। তা ছাড়া, হাত-পা, কপাল, তলপেট, পিঠ—শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
যে সংস্থার মাধ্যমে রজনী পরিচারিকার কাজ পান, তারা জানিয়েছে, গত রবিবার বাড়িমালিকের কাছ থেকে ফোন আসে। বলা হয়, রজনী অসুস্থ। ওঁকে বাড়িতে দিয়ে আসা উচিত। পরে ওই দম্পতি নিজেরাই অফিসের ঠিকানায় রজনীকে নিয়ে চলে আসেন। সংস্থার মালিকের দাবি, সে সময় রজনী ভীষণ অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে যখন দিয়ে যাওয়া হয়, নিজের প্রস্রাবের উপর শুয়েছিলেন তিনি। সারা গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনিই রজনীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রজনীর শিলিগুড়ির বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া, অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy