সাংসদ রাজদীপ রায়।
নির্বাচিত হয়েই গিয়েছিলেন শপথ নিতে। অধিবেশন সেরে ফিরে দেখেন, এই কিছু দিনেই তাঁকে নিয়ে ধারণা বদলে গিয়েছে শিলচরবাসীর। কেউ আর সকালে নাম লেখাতে আসেন না। ডাক্তারবাবু ফিরেছেন কিনা, জানতে চান না। অনেকে বাড়িতে দেখা করতে যান। কিন্তু হাঁটুর চোট, পিঠ-কোমরের ব্যথার কথা বলেন না। বদলে চাকরি সরকারি চান। কেউ কেউ বলেন, রাস্তা চাই। চাইবেন নাই-বা কেন! অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ রাজদীপ রায় যে এখন শিলচরের নতুন সাংসদ।
মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সুস্মিতা দেবকে হারিয়েছেন। প্রথম অধিবেশনেই রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের উপর ধন্যবাদ জানানোর সুযোগ পেয়েছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর-সহ নানা সমস্যার কথা সংসদে তুলে ধরেছেন। এত সবের পরেও আশঙ্কায় ভুগছিলেন, ডাক্তারিটা কী তবে গেল! এমএস সেরে ব্রিটেন থেকে ডিগ্রি নিয়ে এসে শুধুই সাংসদ!
সোমবার রাতে নিজেই যান এক বেসরকারি হাসপাতালে। এত দিন তিনি সেখানেই অস্ত্রোপচার করেছেন। সেই রাতে চারটি অস্ত্রোপচার করেন তিনি। সঙ্গে আর এক অর্থো-সার্জন, রাজদীপবাবুরই স্কুলের বন্ধু অরিজিৎ ধর। তিনিই সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। পরে তা টুইটারে দেন রাজদীপ ডাক্তারও।
আপাতত সংশয় কেটে গিয়েছে রাজদীপবাবুর। গত দু’দিন ধরে সবাই জানতে চাইছেন, এমপি স্যর কি আবার রোগী দেখছেন? কিন্তু রুটিন করে রোগী দেখার সময় কোথায়! মঙ্গলবার সারাদিন কাটল মিনি সচিবালয়ের ভূমিপূজনে। বুধ-বৃহস্পতিবার ডিস্ট্রিক্ট ভিজিল্যান্স কমিটির সভা। চেয়ার থেকে সরার সুযোগ নেই। তবু ডাক্তারি বলে কথা! তাই জানিয়েছেন, সকালে বাড়িতে বিনা পয়সায় কয়েকজন গরিব রোগীর চিকিৎসা করবেন। শিলচরে থাকলে রুটিন করে বসবেন নিজের নার্সিংহোমেও।
সেখানে ফিজ় লাগবে জেনেও খুশি বরাকের মানুষ। অধিকাংশেরই এক কথা, সাংসদের বিশাল গুরুত্ব। কিন্তু আমাদের ডাক্তারেরও বড় প্রয়োজন! রাজদীপবাবুর কথায়, ‘‘বিধান রায় তো মুখ্যমন্ত্রী হয়েও ডাক্তারিটা ছাড়েননি। আমি তো সাধারণ সাংসদ। আমিও ছাড়ব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy