বেঙ্গালুরুতে কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার ও আটজন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। ফাইল ছবি।
কর্নাটকের নতুন কংগ্রেস সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না গেলেও নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির জন্যই তিনি যেতে পারলেন না।
আজ বেঙ্গালুরুতে কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার ও আটজন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। ভিড়ে ঠাসা বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কংগ্রেস নিজের শক্তি প্রদর্শন তো বটেই, তার সঙ্গে বিরোধী ঐক্য হিসেবে তুলে ধরেছে। কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব ছাড়াও ১৭টি বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা সেখানে হাজির ছিলেন। কংগ্রেসের তিন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এম কে স্ট্যালিন, নীতীশ কুমার, হেমন্ত সোরেনকে নিয়ে তিনটি বিরোধী-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ছিলেন। কিন্তু আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যাননি। তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বিরোধী শিবিরে।
মমতা নিজে না গেলেও তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সিদ্দারামাইয়া ও ডি কে শিবকুমারের জন্য বাংলার কাঁথা সেলাইয়ের নকশা করা শাল নিয়ে গিয়েছিলেন কাকলি। অনুষ্ঠানে সিদ্দারামাইয়াকে কাকলি জানিয়েছেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় অল্প সময়ের নোটিসে তৃণমূলনেত্রী আসতে পারেননি। তবে তিনি তাঁর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করেছেন। তিনি পরে আসবেন বলেও জানিয়েছেন। কাকলিকে তখন সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মমতার ফোনে কথা হয়েছে। গতকাল রাতেও মমতা ফোন করে তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি নিজে যেতে না পারলেও কাকলি ঘোষদস্তিদার যাচ্ছেন।
এ দিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে স্ট্যালিন, শরদ পওয়ার, নীতীশ, তেজস্বী, হেমন্ত সোরেন, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, কমল হাসন, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ও অনিল দেশাই, আরএলডি-র জয়ন্ত চৌধরি, ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি, সিপিআইএমএল-এর দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, আইইউএমএল-এর আবদুল সামাদ, আরএসপি-র এন কে প্রেমচন্দ্রন, ভিসিকে-র টি থিরুমাভালাভন হাজির ছিলেন।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে ২০১৮-য় এই কর্নাটকেই এইচ ডি কুমারাস্বামীর নেতৃত্বে জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারের শপথগ্রহণে একই ভাবে বিরোধী জোটের ছবি দেখা গিয়েছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটে কোনও ঐক্যের দেখা মেলেনি। এখন কংগ্রেস, জেডিএসের জোটও ভেঙে গিয়েছে। ২০২৪-এ বিরোধী জোট হবে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে বিরোধী শিবিরের প্রায় সব নেতাই আজ জানিয়েছেন, রাজ্য স্তরে রাজনৈতিক প্রয়োজন বুঝে বিরোধী জোট হবে। সেই রাজ্যওয়াড়ি সমীকরণ মেনেই এ দিনের অনুষ্ঠানে অরবিন্দ কেজরীওয়াল, কে চন্দ্রশেখর রাও, নবীন পট্টনায়ক, জগন্মোহন রেড্ডি, মায়াবতীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এনসিপি-র শীর্ষ নেতা শরদ পওয়ার বলেছেন, বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা করার চেষ্টা চলছে। আগামী তিন থেকে চার মাসে এ নিয়ে আলোচনা করা যাবে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার চাইছেন, সবাই একসঙ্গে বৈঠকে বসা হোক। তারিখ ঠিক না হলেও যখনই বৈঠক হবে, তিনি যাবেন বলে জানিয়েছেন পওয়ার। তাঁর মন্তব্য, ‘‘মানুষ পরিবর্তন চাইছে। তার জন্য কোনও দলের একার পক্ষে গোটা দেশে সেই দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেক বিরোধী দলের রাজ্য সরকার রয়েছে। সকলের সঙ্গে যোগাযোগ দরকার। অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি করে মানুষের সামনে বিকল্প তুলে ধরতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy