সিদ্দারামাইয়া। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী বদলের দাবিকে কেন্দ্র করে কর্নাটক কংগ্রেসে অন্তর্কলহ ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া আজ জানিয়েছেন, কংগ্রেস হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা তিনি মেনে নেবেন। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সে জন্য ইতিমধ্যেই কড়া নির্দেশ জারি করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার। তা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে বিবৃতি পাল্টা-বিবৃতি বন্ধ করা যাচ্ছে না। সিদ্দারামাইয়ার সমর্থনে মুখ খুলেছেন নরেন্দ্রস্বামী নামে এক বিধায়ক। আজ তিনি বলেছেন, ‘‘সিদ্দারামাইয়াকে কেউ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দেননি, বিধায়কেরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে।’’
দিন কয়েক আগে ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু তথা বিশ্ব ভোক্কালিগার মহাসংস্থা মঠের প্রধান চন্দ্রশেখরস্বামী বলেছিলেন, শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত। আজ সে প্রসঙ্গে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘এটা প্রকাশ্যে আলোচনার কোনও বিষয় নয়। দলের হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নেবেন, আমি তা মেনে নেব। স্বামীজি কী বলেছেন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমাদের দল জাতীয় দল। দলে হাইকমান্ড রয়েছেন।’’
মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে দলের ভিতরের চাপানউতোর যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সে ব্যাপারে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না কংগ্রেস। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজের কাজ হচ্ছে না। বিধায়ক নরেন্দ্রস্বামী বলেছেন, ‘‘২০২৩ সালে বিধায়কদের ভোটে সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এটা আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র। তা এখনও আমাদের দল রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বদল দলের পক্ষে ইতিবাচক হবে কিনা, তা ভেবে দেখা উচিত।’’
দিন কয়েক আগে শিবগঙ্গার বিধায়ক বাসবরাজ দাবি তুলেছিলেন শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। সে প্রসঙ্গে নরেন্দ্রস্বামী বলেন, ‘‘কাউকে খুশি করতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী বদলের দাবি তোলা উচিত নয়। দলের মধ্যেই এ নিয়ে আলোচনা করা উচিত, প্রকাশ্যে নয়।’’ প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রিত্বের অন্যতম দাবিদার ছিলেন শিবকুমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy