আফতাব আমিন পুনাওয়ালার হাতে খুন হওয়া শ্রদ্ধা ওয়ালকরের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। ছবি: পিটিআই।
এমন গুরুতর ফৌজদারি মামলার গন্তব্য নিম্ন আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত হয়। শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনের মামলার অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁকে ফাঁসিকাঠে ঝুলতে হতে পারে বলে মনে করছেন ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ। তাঁদের মতে, আদালতে তথ্যপ্রমাণ ঠিক ভাবে পেশ করা হলে এই অপরাধ ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ তকমা পেতে বাধ্য। সে ক্ষেত্রে ফাঁসির সাজা হতে পারে আফতাবের।
তবে তার আগে তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়গুলি পুলিশকে ঠিক ভাবে অতিক্রম করতে হবে বলে মনে করছেন ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞদের ওই অংশ। তাঁদের মতে আইনগ্রাহ্য তথ্য-প্রমাণ পেশ করে আদালতে নিঃসংশয়ে ‘অপরাধী’ প্রমাণ করতে পারাটাই দিল্লি পুলিশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ অতীতে অনেক ঘটনার ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, তদন্তে ত্রুটির কারণে জঘন্যতম অপরাধে অভিযুক্তও ‘সংশয়ের ফাঁক গলে’ মুক্তি পেয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ছ’মাস আগে ২৭ বছর বয়সি লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে ২৮ বছরের আফতাব খুন করেন বলে অভিযোগ। এর পর প্রেমিকার দেহ ৩৫ টুকরো করেছিলেন তিনি। তার পর দিল্লির জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সেই টুকরোগুলি। তার আগে, টুকরোগুলির পচন এড়ানোর জন্য নতুন একটি ফ্রিজও কিনে ফেলেছিলেন আফতাব।
তদন্তে উঠে এসেছে খুনের আগে শ্রদ্ধাকে নিয়ে হিমাচলে বেড়াতে গিয়েছিলেন আফতাব। তত দিনে খু্নের পরিকল্পনা কষতে শুরু করেছিলেন তিনি। ঘটনা ঘটিয়ে আফতাব যে ভাবে ঠান্ডা মাথায় গুগ্ল করে রক্ত পরিষ্কারের পদ্ধতি খুঁজেছিলেন, ফ্রিজ কিনেছিলেন, প্রেমিকার দেহ টুকরে টুকরো করে কেটে জঙ্গলে ছড়িয়েছিলেন, বান্ধবীদের নিয়ে ফ্ল্যাটে এসেছিলেন, আদালতে তা প্রমাণিত হলে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ তকমা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
১৯৮০ সালে দিল্লিরই বচ্চন সিংহ মামলার সাজা ঘোষণা করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ সংজ্ঞা ব্যবহার করেছিল। শেষ ২০ বছরে ভারতে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তার মধ্যে নাশকতা বা সন্ত্রাস যোগের মামলাগুলি ছাড়া ফাঁসিকাঠে ওঠা ফৌজদারি আসামিদের সকলকেই ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ অপরাধে দোষী চিহ্নিত করেছে শীর্ষ আদালত।
তবে অনেক ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন নিম্ন আদালত ফাঁসির আদেশ শোনালেও, সেই সব মামলা উচ্চতর আদালতে এলে সেই চরম শাস্তি রদ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রেও বিচারপতিরা রায় ঘোষণা করতে গিয়ে প্রায়শই ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ তকমা-মুক্ত করেন অপরাধ এবং অপরাধীকে। আফতাবের ক্ষেত্রে তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আইনজীবীদের অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy