শ্রদ্ধাকে খুনের অভিযোগ গত ১২ নভেম্বর আফতাবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফাইল চিত্র।
খুনের পর রোজ রাতে শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডুর সঙ্গে কথা বলতেন আফতাব! তাঁকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। শুধু তাই-ই নয়, শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডু ফ্রিজ থেকে বার করতেন, সেটাকে মেক আপ করাতেন বলে জানিয়েছেন আফতাব। আবার সেই কাটা মুন্ডুর সঙ্গে কথা বলতে বলতে রাগ হলে তার গালে চড়ও মারতেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আরও এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন আফতাব। যখনই ওই তরুণীকে ছতরপুরের বাড়িতে ডেকে আনতেন, তার আগেই শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডু ফ্রিজে রেখে দিতেন। তাঁর শরীরের টুকরোগুলি আলমারিতে ঢুকিয়ে রাখতেন। শুধু তাই-ই নয়, যেখানে যেখানে শ্রদ্ধার দেহাংশ রাখতেন, সেখানে পরে সালফার হাইপোক্লোরিক অ্যাসিড দিয়ে পরিষ্কার করে দিতেন, যাতে ফরেন্সিক তদন্তের সময় কোনও প্রমাণ না মেলে।
এক প্রতিবেশী নিউজ় ১৮-এর কাছে দাবি করেছেন, রোজ রাতে আফতাবের ঘর থেকে জলের পাম্প চালানোর আওয়াজ আসত। এবং সেটা নিয়মিত ভাবেই। প্রতিবেশীদের দাবি থেকে পুলিশের ধারণা, যে হেতু রাতে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে কাটতেন আফতাব, সেই আওয়াজ যাতে বাইরে কোনও ভাবে না পৌঁছয়, তাই ওই কাজ করার সময় জলের পাম্প চালিয়ে দিতেন। প্রতিবেশীরা আরও জানিয়েছেন, আফতাব পড়শিদের সঙ্গে বেশি কথা বলতেন না। সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকতেন। অনলাইনে খাবার আনাতেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুনের পর ১৯ তারিখ সকালে কাছের একটি বাজারে গিয়েছিলেন আফতাব। সেখান থেকে ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন। ক্রেডিট কার্ডে ফ্রিজের ২৩,৫০০ টাকা বিল মেটান তিনি। তার পর সেখান থেকে ছুরি, কাঁচির দোকানে যান। সেখান থেকে ছুরি কেনেন, সঙ্গে বেশ কিছু প্লাস্টিকের ব্যাগও কিনে এনেছিলেন। শ্রদ্ধাকে খুনের অভিযোগ গত ১২ নভেম্বর আফতাবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy