উত্তরপ্রদেশে গুলির লড়াই। ছবি: সংগৃহীত।
রাস্তা দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে। পথচারীরা হেঁটে যাচ্ছিলেন। আর তার মধ্যেই আচমকা গুলি চলতে শুরু করল। রবিবার সকালে গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তরপ্রদেশের বরেলী। আতঙ্কে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে দেন।
ঘটনার সূত্রপাত একটি ধাবার জমি দখলকে কেন্দ্র করে। বরেলীর পিলিভীট রোডের ইজ্জত নগর থানা এলাকায় জমি মাফিয়ারা বুলডোজ়ার নিয়ে এসে ওই ধাবার জমি দখল করার চেষ্টা করেন। তার পরই শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। রাস্তার অন্য প্রান্ত থেকে মাফিয়ারা ধাবার লোকজনকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি চালাচ্ছিল। পাল্টা গুলি ছুটে আসছিল ধাবা থেকেও। ঠিক যেন কোনও দক্ষিণের ছবির দৃশ্য।
রাস্তার দু’প্রান্তে তখন আতঙ্কিত মানুষ আড়াল খোঁজার চেষ্টা করছেন। আর রাস্তার মাঝখানে দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলছে। ধাবার লোকজন একটি গাড়ির আড়াল থেকে গুলি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আর মাফিয়ারা রাস্তার ডিভাইডারে উঠে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছিল। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। গুলির লড়াইয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, মাফিয়াদের ধরার কোনও চেষ্টাই করেনি তারা। নির্বাক দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। আর তাদের সামনেই রাস্তার দু’প্রান্ত থেকে গুলি ছুটে আসছিল। এই ঘটনায় যদিও কেউ হতাহত হনি বলেই স্থানীয় সূত্রের খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইমারতি ব্যবসায়ী রাজীব রাণা আদিত্য উপাধ্যায়ের ধাবা দখলের চেষ্টা করতেই গোলমাল শুরু হয়। অভিযোগ, রাণা দু’টি জেসিবি নিয়ে এসে ধাবা ভাঙার চেষ্টা করেন। উপাধ্যায় এবং তাঁর দলবল তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। জেসিবিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরই দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি আলাদা মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনা নিয়ে সমাজবাদী পার্টি যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সমালোচনা করেছে। দলের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, “উত্তরপ্রদেশে গুন্ডারাজ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অপরাধীদের মনোবল তুঙ্গে। বরেলীতে দুষ্কৃতীদেরই সহযোগিতা করেছে পুলিশ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy