Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

দশ বাণে বিদ্ধ শিবরাজ

প্রায় ৭৭ লক্ষ প্রার্থী ব্যপমের আওতায় পরীক্ষায় বসেছেন। এতো বড় দুর্নীতি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের অগোচরে ছিল। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? দুর্নীতির প্রথম অভিযোগটি উঠেছিল ২০০৯-এ। তার পরে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং চিকিৎসা শিক্ষা সচিবের স্তরে একটি তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছিল। তার পরেও চার বছর ধরে এই দুর্নীতি চলল কী করে? কেন মুখ্যমন্ত্রী তা ঠেকাতে পারলেন না?

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৫ ২২:০৩
Share: Save:

১। প্রায় ৭৭ লক্ষ প্রার্থী ব্যপমের আওতায় পরীক্ষায় বসেছেন। এতো বড় দুর্নীতি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের অগোচরে ছিল। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?

২। দুর্নীতির প্রথম অভিযোগটি উঠেছিল ২০০৯-এ। তার পরে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং চিকিৎসা শিক্ষা সচিবের স্তরে একটি তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছিল। তার পরেও চার বছর ধরে এই দুর্নীতি চলল কী করে? কেন মুখ্যমন্ত্রী তা ঠেকাতে পারলেন না?

৩। তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে কমিটি গঠন করেছিলেন তার প্রথম বৈঠক হয়েছিল ১৩ মাস পরে। ২৩ মাস পরে কমিটি রিপোর্ট দিয়েছিল। তদন্ত নিয়ে বিলম্ব কেন হয়েছিল? পরে শিবরাজ কলেজ স্তরে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। নির্ধারিত এক মাসের পরিবর্তে ৩০ মাস পরে ওই কমিটি রিপোর্ট দিয়েছিল। কেন এই দেরি?

৪। শিবরাজ মন্ত্রিসভার শিক্ষা মন্ত্রী ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত ও বর্তমানে জেলে বন্দি। শিবরাজের ব্যক্তিগত সচিব প্রেমচাঁদ প্রসাদ, রাজ্য বিজেপি-র শিক্ষা প্রকোষ্ঠের কোষাধ্যক্ষ সুধীর শর্মা, জন অভিযান পরিষদ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহ-সভাপতি অজয় শঙ্কর মেটা এই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। মুখ্যমন্ত্রীর কাছের এই লোকগুলি যখন অভিযুক্ত তখন তাঁর ভূমিকাও তদন্তযোগ্য নয় কি?

৫। ২০০৮-’১২ সাল পর্যন্ত চিকিৎসা শিক্ষা দফতর মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের অধীনে ছিল। তা হলে তাঁর ভূমিকা নিয়ে তদন্ত হবে না কেন?

৬। ঠিক দু’বছর আগে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেছিলেন চিকিৎসা প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে বলে তাঁর কাছে গোয়েন্দা তথ্য এসেছে। অথচ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তা অস্বীকার করেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স পরীক্ষার অনেক আগে সরকারকে সজাগ করেছিল। তা হলে দুর্নীতি রুখতে সরকার ব্যবস্থা নিল না কেন?

৭। গোটা কেলেঙ্কারির ঘটনায় ৪৬ জন এখনও পর্যন্ত মারা গেছেন। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত শুরু করার জন্য এটা কি যথেষ্ট কারণ নয়?

৮। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি গতকাল নিরপেক্ষ তদন্তের কথা বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবি খারিজ করছেন। তা হলে কি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কথা শিবরাজ শুনছেন না। নাকি এটাও বিজেপি-র কৌশলী খেলা মাত্র!

৯। একের পর মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসাররাই এখন ভীত। তা হলে তাঁদের দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে কী ভাবে?

১০। অভিযুক্তদের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে কোনও তদন্তের নির্দেশ উচ্চ আদালত দেয়নি। এসটিএফ-এরও ব্যাপারটা দেখার কথা নয়। কেবল দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির তদন্ত করারই এক্তিয়ার রয়েছে তাঁদের। তা হলে ধারাবাহিক রহস্যমৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত হবে কী ভাবে?

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy