— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
খাদ্যসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এ বার যোগী সরকারের দেখানো পথে হাঁটতে চলেছে হিমাচল প্রদেশ। এখন থেকে রাজ্যের সব খাদ্যবিপণিতে বাধ্যতামূলক ভাবে লিখতে হবে বিক্রেতার নামপরিচয়। বুধবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা তথা গ্রামীণ সিমলার সাংসদ বিক্রমাদিত্য সিংহ।
কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য বুধবার বলেছেন, ‘‘মঙ্গলবারই নগরোন্নয়ন এবং পুরসভার বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, বিক্রমাদিত্যের পিতা বীরভদ্র সিংহ দীর্ঘ ২১ বছর হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এ দিকে নিজে কংগ্রেসের হলেও বরাবরই নানা ঘটনায় দলের বিরোধিতা করেছেন বিক্রমাদিত্য। কংগ্রেসের বাকি নেতারা না গেলেও চলতি বছরের গোড়ায় রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অযোধ্যা যাবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য সে কথা অস্বীকার করেন। এ বার যোগী সরকারের দেখানো পথে হাঁটলেন সেই বিক্রমাদিত্যই।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে ফলের রসে প্রস্রাব মেশানো, থুথু দিয়ে রুটি বেলার মতো একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে যোগী বলেন, ‘‘এমন দূষিত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’’ দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। এর পরেই মঙ্গলবার যোগী আদিত্যনাথ সরকার জানিয়ে দেয়, এ বার থেকে খাবারের দোকানগুলিতে লিখে রাখতে হবে দোকানির নাম-ঠিকানা। দোকানে বসাতে হবে নজরদারি ক্যামেরাও। প্রসঙ্গত, মাসদুয়েক আগে কাঁওয়ার যাত্রার সময় উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনুরূপ নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। বিরোধী শিবিরের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। সরব হয়েছিলেন সাংসদ অখিলেশ যাদব থেকে মহুয়া মৈত্র। সকলেই একযোগে বলেছিলেন, যোগী সরকারের এই নির্দেশিকা ‘ধর্মীয় বিভেদমূলক’, মুসলিম দোকানিদের চিহ্নিত করতেই এই ব্যবস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy