—ফাইল চিত্র।
রাজধানীবাসীর বর্ধিত বিদ্যুৎ বিলের সমস্যা নিয়ে আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে বৈঠক করলেন কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি শীলা দীক্ষিত। দিল্লির সমস্যা নিয়ে ওই বৈঠক হয়েছে বলে দু’দল দাবি করলেও, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে দু’দলের জোটের সম্ভাবনা নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে।
আজ কেজরীবালের কাছে কংগ্রেস নেতৃত্ব জানান, বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটে একই বাড়িতে রয়েছেন এমন বাসস্থানে ভাড়াটের আলাদা মিটার বসানোর আইন এনেছে দিল্লি সরকার। এর ফলে ভাড়াটের বিদ্যুতের বিল মেটাতে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। দিল্লিবাসীর গত ছয় মাসের বিদ্যুতের বিল বাতিলের দাবি করে কংগ্রেস। আপ বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘যুক্তি দিয়ে কংগ্রেস প্রতিনিধিদলের অভিযোগ খণ্ডন করা হয়।’’
বিদ্যুতের দাম নিয়ে আলোচনার কথা স্বীকার করেও সূত্রের খবর, কী ভাবে আসন্ন বিধানসভায় বিজেপিকে রোখা সম্ভব, তা নিয়েও একান্তে আলোচনা হয় কেজরীবাল ও শীলার। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি আসনেই জিতেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে জোট না হলে বিজেপি যে দিল্লি বিধানসভায় অনায়াসে জিতে আসবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই দু’দলেরই। বিজেপিকে রুখতে জোট বাঁধা সম্ভব কিনা, জোট হলে আসনরফা কোন সূত্র মেনে হবে, তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়।
কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, এই মুহূর্তে জোট করার দায় কেজরীবালের। কারণ তাঁকে ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে। দিল্লিতে হেরে গেলে দলের অস্তিত্ব ঘিরেই প্রশ্ন উঠে যাবে। দ্বিতীয়ত লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট থেকেই স্পষ্ট যে, রাজধানীতে ফের গ্রহণযোগ্যতা ফিরে পেয়েছে কংগ্রেস। পাঁচটিতেই দ্বিতীয় হয়েছে তারা।
তবে জোট প্রশ্নে কেজরীবাল আগ্রহ দেখালেও, তাঁর অবস্থান ঘিরে সন্দেহের মেঘও রয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, মুখে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেও তলে তলে যোগাযোগ রয়েছে দুই শিবিরের। কংগ্রেসের যুক্তি, লোকসভায় জোটের প্রশ্নে কেজরীবাল শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে না এলে দিল্লিতে বিজেপি সব ক’টি আসনে জিততে পারত না। এক কংগ্রেস নেতার মতে, উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীর মতো দিল্লিতেও কেজরীবালের সঙ্গে বিজেপির সমঝোতা হয়েছিল বলে শোনা যাচ্ছে। সেই
কারণেই দিল্লিতে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পরে হঠাৎই পঞ্জাব-হরিয়ানায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা নিয়ে অনড় অবস্থান নেন কেজরীবাল।
সেই আঁতাত এখনও রয়েছে বলেই মত কংগ্রেসের একাংশের। সম্প্রতি দিল্লির মহিলাদের জন্য বাস ও মেট্রোতে বিনামূল্যে যাতায়াতের একটি প্রস্তাব আনেন কেজরীবালরা। যাতে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে মেট্রোর। দিল্লি মেট্রোর একটি বড় অংশের শেয়ার কেন্দ্রের হাতে থাকা সত্ত্বেও কেজরীবালের ওই ভর্তুকি প্রস্তাবে কোনও আপত্তি জানায়নি কেন্দ্র। ওই নীরবতা সন্দেহজনক হওয়ায় আপের সঙ্গে জোট করার প্রশ্নে মেপে এগোনোরই পক্ষপাতী কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy