তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ তারুর এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। —ফাইল ছবি।
কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াইয়ের বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন শশী তারুর। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। এমনটাই বলছে সূত্র। তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুধু মালয়ালম সংবাদপত্রে একটি প্রতিবেদন লিখে ‘অবাধ ও স্বচ্ছ’ নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। এই নির্বাচনের দাবি অবশ্য তাঁর অনেক দিনের।
সংবাদপত্রের ওই প্রতিবেদনে কংগ্রেসের সভাপতি পদের পাশাপাশি কার্যকরী সমিতির অন্য পদাধিকারী নির্বাচনের দাবিও তুলেছেন তারুর। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের অগস্টে সনিয়া গাঁধী চিঠি লিখে কংগ্রেসের সাংগঠনিক সংস্কারের দাবি তুলেছিলেন ২৩ জন নেতা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তারুরও।
প্রতিবেদনে তারুর লিখেছেন, ‘নতুন সভাপতি নির্বাচনের মাধ্যমেই কংগ্রেসে সংস্কারের সূচনা হবে, যা দলের জন্য খুব প্রয়োজনীয়।’ তিনি এ-ও মনে করেন, সংস্কারের পাশাপাশি আরও অনেক কারণেই নির্বাচন খুব জরুরি। এতে কংগ্রেসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে। তিনি এই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের কনজারভেটিভ দলের অন্দরে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। লিখেছেন, এর ফলে কনজারভেটিভ পার্টির ওপর গোটা দুনিয়ার নজর তারুরের কথায় , ‘এই একই কারণে আরও বেশি করে নেতাদের নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। দল এবং দেশের জন্য নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা উচিত। এর ফলে মানুষের আগ্রহও বাড়বে।’
তারুর স্পষ্টই লিখেছেন, কংগ্রেসের সংস্কার প্রয়োজন। তারও আগে প্রয়োজন স্থায়ী সভাপতি নিয়োগ। তিনি লেখেন, ‘এই ইস্যু সমাধানের জন্য অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচন প্রয়োজন। এক মাত্র তা হলেই বৈধ জনাদেশে নির্বাচিত হতে পারবেন পরবর্তী সভাপতি।’
গত শুক্রবার রাহুল গাঁধীকে দুষে দল ছেড়েছেন প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ। এতে দলের কোনও লাভ হবে না বলেই মনে করেন তারুর। তাঁর কথায়, ‘বিশিষ্ট সহকর্মীরা দল ছেড়ে গেলে কংগ্রেসের লাভ হবে না। ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর দলত্যাগে আমি দুঃখিত। কারণ আমি চাই, এই বন্ধুরা দলে থেকে সংস্কারের জন্য লড়াই করুন।’ তারুর এও লিখেছেন, দলকে দুর্বল করার জন্য গুলাম, তিনি-সহ ২৩ জন সনিয়া গাঁধীকে সংস্কারের দাবি জানিয়ে সেই চিঠি দেননি। তাঁর মতে, ‘দলকে শক্তিশালী করাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য।’
দলের অন্দরেই প্রশ্নের মুখে পড়ে রবিবার সভাপতি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতি। ১৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণ। ১৯ অক্টোবর ফল ঘোষণা। যদিও তার পরেও রাজ্যসভায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত রাহুলকে সভাপতি পদে ফেরানোর জন্য সওয়াল করেছেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হারের দায় নিয়ে সভাপতি পদ ছেড়েছিলেন রাহুল। তার পর অন্তর্বর্তিকালীন সভানেত্রীর পদে বসনে সনিয়া। ২০২০ সালে দলের একাংশ স্থায়ী নির্বাচনের দাবিতে সরব হলে নিজের পদ ছাড়ার প্রস্তাব দেন সনিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy