Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Shashi Tharoor

ব্রিটিশরাই ভারতকে সভ্য করেছে, আমেরিকার সঞ্চালকের বক্তব্যে রাগ দেখানোর ইমোজি খুঁজে পাচ্ছেন না তারুর

একটি ‘টক শো’-এ আমেরিকার এক সঞ্চালককে বলতে শোনা যায়, ভারতের অধিকাংশ সুন্দর স্থাপত্য তৈরি হয়েছে ব্রিটিশ শাসনকালেই। তার পর থেকে ভারত আর কোনও সুন্দর স্থাপত্যের পরিচয় দিতে পারেনি।

টুইটারের কাছে আর্জি পেশ শশী তারুরের।

টুইটারের কাছে আর্জি পেশ শশী তারুরের। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৫২
Share: Save:

রাগ দেখাতে না পেরে ফুঁসছেন শশী তারুর। টুইটারের কাছে তাঁর আবেদন, অবিলম্বে এমন কোনও ইমোজির বিকল্প দেওয়া হোক, যা কোনও মতেই মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলে ব্যবহার করা যাবে। কারণ, অনেক সময়েই রাগের চোটে প্রতিক্রিয়া জানানোর ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় না।

কেন রেগে গিয়েছেন শশী? টুইটারে একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে আমেরিকার এক সঞ্চালককে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘ব্রিটিশরাই সভ্য করেছে ভারতকে।’’ শশীর টুইট-প্রতিক্রিয়া সেই ভিডিয়োর বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই।

আমেরিকার ওই সঞ্চালকের নাম টাকার কার্লসন। একটি ‘টক শো’-এ কার্লসনকে বলতে শোনা যায়, ভারতের অধিকাংশ সুন্দর স্থাপত্য তৈরি হয়েছে ব্রিটিশ শাসনকালেই। তার পর থেকে ভারত আর কোনও সুন্দর স্থাপত্যের পরিচয় দিতে পারেনি। কার্লসন যদিও ব্রিটিশদের ভারতে আসার আগে তৈরি স্থাপত্যগুলিকে বাদ দিয়েছেন তাঁর হিসাব থেকে। তবে একই সঙ্গে বলেছেন, ‘‘মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসের মতো সুন্দর স্থাপত্য তৈরি করেছিল ব্রিটিশরা। আজ পর্যন্ত ভারত সেই মাত্রার শিল্প কোনও স্থাপত্যে দেখাতে পারেনি। এ থেকেই প্রমাণ হয়, ভারতে ব্রিটিশ উপনিবেশের অনেক ভাল দিক ছিল। সত্যি বলতে কি ব্রিটিশরা চলে গেলেও সভ্যতা রেখে গিয়েছে ভারতে।’’

ওই অনুষ্ঠানে ভারতের সতীদাহ প্রথা নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে আমেরিকার ওই সঞ্চালককে। দেশে ওই প্রথা রদ করেছিলেন রাজা রামমোহন রায়। তাঁরই উদ্যোগে ব্রিটিশ শাসকেরা ওই প্রথা বন্ধ করার ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ করে। কার্লসন অবশ্য রামমোহনের নামও উচ্চারণ করেননি। সতীদাহ প্রথ বন্ধ করার পুরো কৃতিত্বই তিনি দিয়েছেন ব্রিটিশ শাসককে। কার্লসনের ওই বক্তব্যের ভিডিয়ো দেখার পরেই টুইটারে নিজের মত জানিয়েছেন শশী। ভিডিয়োটি শেয়ার করে তার বিবরণে শশী লিখেছেন, টুইটারে এমন কোনও বিকল্প থাকা উচিত, যার সাহায্যে নিজের তীব্র ক্ষোভের কথা জানানো যেতে পারে।

উল্লেখ্য, ফেসবুকের পর এখন হোয়াটসঅ্যাপের মতো বহুল ব্যবহৃত নেট মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানোর নানা বিকল্প থাকে। শশী সে কথাই মনে করিয়ে দিয়ে টুইটারের কাছেও তেমন বিকল্পের খোঁজ করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর বিবরণে দু’টি রাগে লাল হওয়া মুখ এবং গালিগালাজের ইমোজি ব্যবহার করে লিখেছেন, আপাতত এই দিয়েই নিজেকে শান্ত রাখছি।

অন্য বিষয়গুলি:

Shashi Tharoor British India Raja Rammohan Roy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy