মণিপুরের ভোটযুদ্ধে কি নামছেন দুই বীরাঙ্গনা?
গত ২৪ ঘণ্টার রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। মণিপুরে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে, আজ নিজের দলের নাম ঘোষণা করেছেন ইরম শর্মিলা চানু। অন্য দিকে বিজেপির নর্থ ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের মূখ্য আহ্বায়ক হিমন্ত বিশ্বশর্মা বৈঠক করেছেন বক্সার মেরি কমের সঙ্গে।
অনশন ভাঙার দিনই শর্মিলা ঘোষণা করেছিলেন— মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহের কেন্দ্র খুরাইয়ে লড়ে তাঁকে ভোটযুদ্ধে পরাস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী হতে চান। তা বাস্তব হলে সরিয়ে দেবেন আফস্পা। যে আইন প্রত্যাহারের জন্য তাঁর ১৬ বছরের অনশন, কারাবাস। জামিনে মুক্তির পর প্রথম রাতে বিক্ষোভের জেরে ইম্ফলে থাকার জায়গা পাননি চানু। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মানুষ, বিশেষ করে মেয়েরা ফের তাঁকে কাছে টানে। গোটা রাজ্য ঘুরে, মানুষের সঙ্গে কথা বলে গণভিত্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন চানু। মামলা খারিজ হওয়ার পরে তাঁর রাজনৈতিক দল গঠন ছিল সময়ের অপেক্ষা। এর মধ্যেই শূন্য থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত সরকার ফেলার অঙ্ক শিখতে চানু দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করেন।
চানু তাঁর রাজনৈতিক দলের নাম দিয়েছেন ‘পিপল্স রিসার্জেন্স অ্যান্ড জাস্টিট অ্যালায়েন্স’ বা পিআরজেএ। চানু জানান— রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা ব্যবসায়িক স্বার্থসিদ্ধি নয়, তাঁর দলের মন্ত্র মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করা। দলের প্রথম লক্ষ্য অবশ্যই মণিপুরকে আফস্পামুক্ত করা। তাঁর মতে, ‘‘রাজ্যবাসী নিজের বাঁচার অধিকার ফিরে পেলে ইনারলাইন পারমিট চালু করা-সহ অন্য দাবিগুলিও একে একে আদায় করা যাবে।’’ শুধু বিধানসভাই নয়, লোকসভাতেও লড়বে
তাঁর দল।
অন্য দিকে, রাজ্যসভার সাংসদ তথা অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার মেরি কমের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের বৈঠক ঘিরেও মণিপুরে জল্পনা তুঙ্গে। গত সন্ধ্যায় ‘নর্থ ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’-এর আহ্বায়ক হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি ভবানন্দর সঙ্গে কথা বলেন মেরি। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বিজেপি মণিপুর দখলের লক্ষ্যে এ বার কোমর কষে নেমেছে। দলে টানা হয়েছে তিন প্রাক্তন কংগ্রেসি মন্ত্রীকে। মেরিকে সরাসরি প্রার্থী করা না হলেও দলের
তারকা প্রচারক হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি।
অবশ্য বৈঠকের পরে হিমন্ত জানান, মেরির মতো ব্যক্তিত্বর কাছ থেকে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে জানতে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘বক্সিংয়ের ঘুষির মতো রাজনীতি নিয়েও মেরির ধারণা খুবই দৃঢ।’’
রাজ্যবাসীর একাংশের বক্তব্য, মেরিকে কোনও ভাবে বিজেপি দলের হয়ে প্রচারে রাজি করিয়ে ফেললে আগামী বছরের গোড়ার নির্বাচনে প্রচারমঞ্চে মেরি বনাম চানুর দ্বৈরথ মূল আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy