বিচ্ছেদের রজত জয়ন্তীতে দুই বন্ধুর পুনর্মিলন। ১৯৯৭ সালে জনতা দল ভেঙে লালু তৈরি করেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল। অন্য দিকে একদা অভিন্ন হৃদয় বন্ধু শরদ তৈরি করেন জনতা দল (ইউনাইটেড)। পরবর্তীতে শরদের দলের সঙ্গে মিশে যায় জর্জ ফার্নান্ডেজের সমতা পার্টি। সেই যে দুই যাদব-মিত্রের পথ ভিন্ন হল, তা মিলতে সময় লাগল ২৫ বছর।
ফাইল ছবি।
লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-তে মিশে গেল শরদ যাদবের দল লোকতান্ত্রিক জনতা দল (এলজেডি)। রবিবার নয়াদিল্লিতে শরদের বাসভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে মিলন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। হাজির ছিলেন বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা আরজেডি-র বর্তমান নেতা তেজস্বী যাদব।
বিচ্ছেদের রজত জয়ন্তীতে দুই বন্ধুর পুনর্মিলন। ১৯৯৭-য়ে জনতা দল ভেঙে লালু তৈরি করেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল। অন্য দিকে একদা অভিন্ন হৃদয় বন্ধু শরদ তৈরি করেন জনতা দল (ইউনাইটেড)। পরবর্তীতে শরদের দলের সঙ্গে মিশে যায় জর্জ ফার্নান্ডেজের সমতা পার্টি। সেই যে দুই যাদব-মিত্রের পথ ভিন্ন হল, তা মিলতে সময় লাগল ২৫ বছর।
রবিবার দিল্লিতে শরদের বাসভবনের লনে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। প্রবীণ নেতারা বলছেন, সমাপতন। সময়টা ১৯৯০। বিহারে ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে জনতা দলের মধ্যে। এক দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ভিপি সিংহের প্রার্থী রামসুন্দর সিংহ অন্য দিকে লালুপ্রসাদ। এ হেন অসম লড়াইয়ে লালুর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দেবীলালের সঙ্গী শরদ। দলের ভিতর নির্বাচনে জিতে বাকিদের পিছনে ফেলে পটনার মুখ্যমন্ত্রী আবাসে ঢুকেছিলেন লালু। সেই শুরু লালু-শরদ বন্ধুত্বের। বন্ধুত্ব অটুট ছিল ৯৭-এ জনতা দল ভাঙা পর্যন্ত। তার পরেও অবশ্য দু’জনের মধ্যে কখনও বন্ধুত্ব আবার কখনও রাজনৈতিক বৈরিতা দেখা গিয়েছে। ২০১৮-য় শরদ তৈরি করেন এলজেডি। কিন্তু দল হিসেবে কখনও ভোটে লড়েনি এলজেডি। ২০১৯ লোকসভায় আরজেডি-র টিকিটে মাধেপুরা থেকে লড়েছিলেন শরদ। কিন্তু জিততে পারেননি। শেষ পর্যন্ত সমস্ত দূরত্ব মিটিয়ে ফের এক ছাতার তলায় লালু, শরদ।
ঘটনাচক্রে, লালু এখন জেলে। দুই দলের মিশে যাওয়ার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন লালু-পুত্র তেজস্বী। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের রাজনীতিতে প্রবীণ সমাজতান্ত্রিক নেতা শরদ যাদবের গুরুত্ব কারও অজানা নয়। তিনি আমাদের কাছে পিতৃসম ব্যক্তিত্ব। সে ভাবেই তিনি আমাদের পথ দেখাবেন।’’ আর তেজস্বীর ভূয়সী প্রশংসা করে শরদ বললেন, ‘‘তেজস্বীই ভবিষ্যৎ। আজ আমাদের আরও বেশি করে তেজস্বীর মতো তরুণদের চাই। আরজেডি তোমাদের দল, তাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার কাজও তোমাদের হাতেই ন্যস্ত। আমি শারীরিক ভাবে আর আগের মতো সক্রিয় নই। কিন্তু আমি যতটা পারব, তোমাদের পাশে থাকব। আমি বিশ্বাস করি, লালুপ্রসাদ একদিন মুক্ত হবেন। তিনি যদি সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সঙ্গে আপস করতেন, তাহলে হয়তো তাঁকে আজ জেলের ভিতরে থাকতে হত না। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। তাঁর লড়াইকে আরও ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy