শরদ পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর রাজনৈতিক তিক্ততা নিয়ে মুখ খুললেন শরদ পওয়ার। এনসিপি প্রধানের বক্তব্য, মমতাকে অধীর যে ভাষায় আক্রমণ করছেন, তা ঠিক নয়।
রাজ্যে রাজ্যে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র শরিকদের আসন সমঝোতার প্রশ্নে যে রাজ্যগুলি কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাও। সেখানে তৃণমূল এবং কংগ্রেসকে বসতে হবে আলোচনার টেবিলে। যদিও এখনও পর্যন্ত তৃণমূল সূত্রের দাবি, দু’টির বেশি আসন কংগ্রেসকে ছাড়ার প্রশ্ন নেই।
তৃণমূলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর কড়া ভাষায় বারবার আক্রমণ করছেন তৃণমূল নেত্রীকে। তৃণমূল বিভিন্ন ভাবে এই ক্ষোভ জানিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বকে। এ বার সেই বিষয়টি নিয়েই মুখ খুলেছেন শরদ পওয়ার। তাঁর কথায়, “আমরা দেখছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অধীর চৌধুরীর সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হচ্ছে। মমতাকে শাপশাপান্ত করার বদ অভ্যাস রয়েছে অধীরের। এটা ঠিক নয়। এটা ওঁর বন্ধ করা উচিত।” এর পর ‘অশ্বথামা হত ইতি গজ’-র ঢংয়ে পওয়ার বলেন, “অবশ্য এতে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র উপরে কোনও প্রভাব পড়বে না।”
অধীরের বক্তব্য, ‘‘শরদ পওয়ারের যা মনে হয়েছে, বলেছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল আক্রমণকারী এবং কংগ্রেস আক্রান্ত। সুতরাং, আক্রমণকারীর সঙ্গে আক্রান্তের যে সম্পর্ক হওয়া উচিত, সেটা মেনেই এখানে আমরা চলছি। সর্বভারতীয় স্তরের কথা বলতে পারব না। বাংলার রাজনীতিতে যা বাস্তব, যা ঘটছে, সেই অনুযায়ীই কথা বলছি।’’
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘শরদ পওয়ার বড় নেতা। ওঁর ভাইপোর অংশ দল ভেঙে বিজেপির সঙ্গে চলে গিয়েছে। উনি ‘ইন্ডিয়া’ জোটে আছেন। শরদ পওয়ার যদি মনে করে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক পথে চলেন, যথার্থই তিনি বিজেপির বিরোধী, তা হলে মমতার দলকে পওয়ার মহারাষ্ট্রে গোটাদুয়েক আসন ছেড়ে দিন!’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘অধীর কী করবেন, তা নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে পারব না। কিন্তু বাংলায় ঝালদা, রানিনগরে তৃণমূল যে বিরোধী-শূন্য মনোভাবের নমুনা দেখিয়ে চলেছে, সেটা অধীর জানেন। তাই তিনি প্রতিবাদ করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy