ফাইল চিত্র।
দেশের সব বিরোধী নেতা ও অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা চিঠির পর বেসুরো প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল সমর্থনে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য হওয়া অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি টুইট করে মমতাকে অবিজেপি জোটের ‘স্তম্ভ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘অবিজেপি বিরোধী জোট গঠন এখন সময়ের চাহিদা। তার স্তম্ভ মমতা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী ভোট ভাগ আটকানোর জন্য প্রত্যেকটি রাজ্যের প্রত্যেকটি আসনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে। বিজেপি তার সেরা জয়েও কখনও ৩৯ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। অবিজেপি পরিসরকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাকিদের সব রকম চেষ্টা করতে হবে।’
অভিষেকের এই টুইট নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি কংগ্রেস। বিষয়টিকে অভিষেকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বলেই উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই নিয়ে দলের ভিতরে কোনও আলোচনাও হয়নি বলে খবর। তবে আজ সন্ধ্যার পর এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের বাসভবনে দেখা করেন কংগ্রেস বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা গুলাম নবি আজাদ। মমতার প্রস্তাব এবং কংগ্রেসের কী করা উচিত তা নিয়ে কথা হয়েছে দুই প্রবীণ নেতার মধ্যে। সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ অংশ মনে করছে বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে কংগ্রেসকে তার আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরতে হবে। এর আগে আজাদের বাড়িতে এই অংশের বৈঠকের পর বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, কংগ্রেসের উচিত বিজেপি-বিরোধী সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে একটি মঞ্চ তৈরি করা।
তবে বিরোধী জোটে মমতার নেতৃত্বকে সনিয়া-রাহুল গান্ধী কতটা মেনে নেবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান রাজনৈতিক শিবিরে। পশ্চিমবঙ্গে জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বার বার আক্রমণ করেছে কংগ্রেসকে। অন্য দিকে বাংলায় ভোটের সময়েও মমতার নাম করে প্রবল আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে অধীর চৌধুরী-সহ বাংলা কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদের। সব মিলিয়ে জাতীয় স্তরেও কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক যথেষ্ট আড়ষ্ট। চলতি সংসদ অধিবেশনেও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে যতটা সম্ভব কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধীদের কক্ষ সমন্বয়ের।
তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। বিরোধীদের বৈঠক যাতে মুম্বইয়ে করা যায় সে জন্য সচেষ্ট তিনি। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল এবং শিবসেনার কথা চলছে। তিনি কথা বলছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশের সঙ্গে। পওয়ার মঙ্গলবার বলেছেন, “আজ যাঁরা ক্ষমতায় তাঁরা মনে করেন, নিজেদের আদর্শের সঙ্গে কারও মিল না হলেই সে শত্রু। সিবিআই এবং ইডি-র তল্লাশি এখন দৈনন্দিন ঘটনা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতে, রাজনৈতিক বিরোধীদের হেনস্থা করতে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। এনসিপি, কংগ্রেস এবং শিবসেনার নেতাদের বিরুদ্ধে কিছু না কিছু ঘটেই চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাথায় একটাই চিন্তা। মানুষের মতামত যাই হোক না কেন, তিনি চান কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত বিজেপির শাসন চলুক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy