আক্রমণ যে নামবেই, সেটা খানিকটা প্রত্যাশিতই ছিল। শাহরুখ নিজেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। হলও তাই। প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি। গত কালই নিজের ৫০তম জন্মদিনে দেশে চলতে থাকা অসহিষ্ণুতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন শাহরুখ খান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে এক কথায় পাকিস্তানের এজেন্ট বলে দিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেত্রী সাধ্বী প্রাচী। বললেন, শাহরুখ বরং এ দেশ ছেড়ে পাকিস্তানে গিয়ে বাস করুন।
সোমবার নিজের পঞ্চাশতম জন্মদিনে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন শাহরুখ। বলেন, ‘‘দেশে চরম অসহিষ্ণুতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ ভাবে চলতে থাকলে আমরা আর ক’দিনের মধ্যে অন্ধকার যুগে ফিরে যাব।’’ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘‘অসহিষ্ণু হওয়াটা অত্যন্ত নির্বোধের কাজ। আমাদের মতো দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা দেখাতে না পারার চেয়ে জঘন্য অপরাধ আর নেই।’’
পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় শাহরুখকে দেশদ্রোহী অ্যাখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেন, ‘‘১৯৯৩ সালে যখন মুম্বই বিস্ফোরণ হয় কিংবা ২০০৮ সালে জঙ্গিরা মুম্বইতে হামলা চালিয়েছিল তখন শাহরুখ কোথায় ছিলেন?’’ একই সুরে প্রশ্ন তুলেছেন বেঙ্কাইয়াও। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘যখন একের পর এক দুর্নীতিতে দেশের টাকা লুঠ হচ্ছিল, সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনের উপর মৌলবাদীরা হামলা চালিয়েছিল, সুরকার এ আর রহমানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, যখন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন, তখন কিন্তু এই বুদ্বিজীবী সমাজ মৌনব্রত নিয়ে থাকেন। যেমনটা এদের বড় একটি অংশ জরুরি অবস্থা বা শিখ গণহত্যার সময়ে চুপ ছিল। তখন কিন্তু কোনও সাহিত্যিক পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়ে প্রতিবাদের পথে হাঁটেননি।’’
প্রতিবাদী লেখক-শিল্পী-শিক্ষাবিদ-শিল্পকর্তাদের তালিকায় এ ভাবেই ঢুকে যান এক জন সুপারস্টারও। সরকারি পুরস্কার যাঁরা ফিরিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের ভাবাবেগের প্রতিও সমর্থন জানান তিনি। সাফ জানান প্রয়োজনে পুরস্কার ফেরাতেও পিছপা হবেন না।
শুধু শাহরুখই নন, যাঁরা যাঁরা অসিষ্ণুতার অভিযোগে সরকারি পুরস্কার ফিরিয়েছেন, তাঁদের সবাইকেই আজ বিশ্বাস ঘাতক তকমা দিয়েছেন সাধ্বী প্রাচী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy