গরমে হাসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: এপি।
বিহারে তীব্র তাপপ্রবাহে একদিনেই কমপক্ষে ৪৪ জনের মৃত্যু। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
চলতি মরসুমে বিহারের তাপমাত্রা গত ১০ বছরের রেকর্ড ছাপিয়েছে। শনিবার সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গয়ার তাপমাত্রা ছিল ৪৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভাগলপুরের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৫ ডিগ্রি। সেই সঙ্গে চলতে থাকে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাতেই মৃত্যু মিছিল শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঔরঙ্গাবাদে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গয়ায় মারা গিয়েছেন ২০ জন। নওয়াদায় প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন।
এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাপপ্রবাহ এবং প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক হয়েই এত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তাররা নমনীয় হতেই জট খোলার আশা, নবান্নে কালই বড় বৈঠক ডাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী
ওই তিন জেলার প্রশাসনকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অসুস্থ অবস্থায় যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি, তাঁরা সবরকম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন নীতীশ কুমার।
আরও পড়ুন: লেনিন সরণিতে বহুতলে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন, হতাহতের খবর নেই
তবে শুধুমাত্র ঔরঙ্গাবাদ, গয়া এবং নওয়াদা নয়, পটনা, ভাগলপুর, পূর্ণিয়া-সহ আরও অনেক জেলাতেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি ছিল শনিবার। আগামী কয়েক দিনও এই আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy