Advertisement
E-Paper

Covovax: ৭ থেকে ১১ বছর বয়সিদের উপর টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ছাড়পত্র পেল সিরাম

কোভোভ্যাক্স টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সাত থেকে এগারো বছরের শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি সিরামকে দিল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৪০
Share
Save

আমেরিকান টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোভিডের টিকা কোভোভ্যাক্স তৈরি করছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। সেই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সাত থেকে এগারো বছরের শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি সিরামকে দিল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)।

১২ থেকে ১৭ বছরের কিশোর-কিশোরীদের উপরে কোভোভ্যাক্সের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে সিরাম। প্রথম ১০০ জনের ক্ষেত্রে সেই প্রতিষেধক কত দূর সুরক্ষিত বলে প্রমাণিত হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য তারা ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে জমাও দিয়েছে। সিডিএসসিও-র সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘‘বিস্তারিত ভাবে আলোচনার পরে সাত থেকে এগারো বছরের শিশুদের নিয়ে প্রোটোকল মেনে পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’

এখনও পর্যন্ত এ দেশে জরুরি ভিত্তিতে কোভোভ্যাক্সের প্রয়োগ শুরুর ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তবে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে কোভোভ্যাক্স ব্যবহারের সবুজ সঙ্কেত এসে যাবে বলে সিরামের সিইও আদার পুনাওয়ালা আশাবাদী। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংস্থা জ়াইডাস ক্যাডিলার তৈরি ডিএনএ-ভিত্তিক কোভিড প্রতিষেধকটি ইতিমধ্যেই ১২ বছর ও তার বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে।

ভারত বায়োটেকের প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনকে বিশ্বব্যাপী জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি গত কালই পিছিয়ে দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ভারত বায়োটেকের থেকে আরও কিছু তথ্য চেয়েছে তারা। আজ এক বিবৃতিতে ভারত বায়োটেক বলেছে, ‘‘অতীতে আমাদের অন্যান্য প্রতিষেধক ছাড়পত্র পেয়েছে। দায়িত্বশীল প্রতিষেধক উৎপাদক সংস্থা হিসেবে আমরা মনে করি, ছাড়পত্র দেওয়ার নিয়মমাফিক প্রক্রিয়া বা তার সময়সীমার বিষয়ে কোনও আন্দাজ বা মন্তব্য করা অনুচিত। যত দ্রুত সম্ভব জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র অর্জনের বিষয়টি নিয়ে আমরা হু-র সঙ্গে কাজ করছি। সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ, তারা সংযত থাকুক। উপযুক্ত সময়ে ছাড়পত্র সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা জানাব।’’

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ১৮ হাজারের ঘরে নেমে এসেছে। যদিও তাতে আশ্বস্ত না হয়ে সমস্ত রাজ্যকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা জানিয়েছেন, সারা দেশে মোটের উপরে সংক্রমণ কমলেও স্থানীয় ভাবে কোনও কোনও রাজ্যে এখনও করোনা ছড়াচ্ছে উদ্বেগজনক ভাবেই। আজ কোভিড সংক্রান্ত কড়াকড়ির মেয়াদ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে কেন্দ্র। নির্ধারিত আন্তর্জাতিক উড়ানসূচিও ওই একই তারিখ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। যদিও দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে কিছু দেশে উড়ান চালাচ্ছে ভারত। সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের পাঠানো আজকের চিঠিতে ভল্লা ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, আসন্ন উৎসবের মরসুমে কোভিড আচরণবিধি পালন করা না হলে সংক্রমণ আবার লাফিয়ে বাড়তে পারে। তাই জনসমাগমের ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

হু-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক ডিরেক্টর পুনম ক্ষেত্রপাল সিংহ বলেন, ‘‘করোনাভাইরাস অনেকটা দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কোভিড আঞ্চলিক রোগে (এন্ডেমিক) পরিণত হবে কি না, তা অনেকগুলি বিষয়ের উপরে নির্ভর করছে। তার মধ্যে প্রধান হল পূর্ব-সংক্রমণ বা টিকাকরণের মাধ্যমে গোষ্ঠীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠা।’’ তবে তিনি জানান, সময়ের সঙ্গে টিকার কার্যকারিতা কমে যাওয়ার কোনও প্রমাণ এখনও নেই। সমস্ত দেশেই মূলত যাঁরা টিকা নেননি, তাঁদের ক্ষেত্রেই সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটছে। বহু দেশের মানুষ এখনও টিকার প্রথম ডোজ়ই পাননি। এই অবস্থায় বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু হলে এই দেশগুলিতে টিকার সরবরাহে টান পড়বে।

Covid 19 Covovax

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy