গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
পুরনির্বাচন চলাকালীনও ত্রিপুরায় অশান্তি নিয়ে শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য সরকারের তরফে ভোটগ্রহণ পর্ব ‘অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ’ হচ্ছে বলে দাবি করা হলেও শীর্ষ আদালত সেই যুক্তি মানেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দ্রুততার ভিত্তিতে ত্রিপুরায় আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পাশাপাশি, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে ভোট পিছনোর দাবি তোলা হয়। সুপ্রিম কোর্ট ভোট পিছনোর দাবি খারিজ করে দিলেও সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোটের স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ।
ত্রিপুরা সরকারের আইনজীবী মহেশ জেঠমলানী বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় সুষ্ঠু এবং অবাধ পুরভোট হচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই অশান্তির অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’
অন্য দিকে, অভিযোগকারী পক্ষের আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘‘সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরেই একের পর এক অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। তৃণমূল এবং সিপিএম প্রার্থীর উপর হামলা হয়েছে। মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই ভোটের বেশ কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে এসেছে। তাতে স্পষ্ট, ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ না হওয়ার কারণেই এমন ঘটছে।’’
অভিযোগকারী পক্ষের যুক্তি মেনে দ্রুত রাজ্যে আরও সিআরপিএফ পাঠানোর জন্য কেন্দ্রেকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি দুই বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ত্রিপুরায় ভোটগ্রহণ পর্ব সাঙ্গ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল এবং বামেদের তরফে ইতিমধ্যেই রাজধানী আগরতলা-সহ বিভিন্ন পুর অঞ্চলের ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা হয়েছে শাসকদল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। প্রার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে আগরতলা পশ্চিম থানার সামনে বিক্ষোভও শুরু করেছেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। অন্য দিকে, বিজেপি-র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে পূর্ব আগরতলা থানার সামনে বিক্ষোভে বসেছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy