পহেলগাঁকাণ্ডের জের। স্থানীয় জঙ্গিদের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী। চিহ্নিত করে ১৪ জঙ্গির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ বার তাদের সাফাই করার শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, শুধু ধরপাকড়ই নয়, তালিকায় থাকা এই জঙ্গিদের বাড়িতেও অভিযান চলানো হবে। ইতিমধ্যেই পহেলগাঁওকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দুই স্থানীয় জঙ্গি আসিফ শেখ এবং আদিল শাহের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। বাকি জঙ্গিদের ক্ষেত্রেই একই পথে হাঁটা হবে বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পহেলগাঁওকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, জঙ্গিদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। এ বার সেই কাজই শুরু হয়ে গেল জম্মু-কাশ্মীরে। সূত্রের খবর, পহেলগাঁও এবং পুলওয়ামাকাণ্ডের সঙ্গে যে সব স্থানীয় জঙ্গির নাম উঠে এসেছে, সে রকম ১৪ জঙ্গির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ বার সেই জঙ্গিদের খুঁজে বার করে খতম করার কাজ শুরু করে দিয়েছে সেনা।
সেই তালিকায় রয়েছে—
১। আদিল রহমান দেন্তু: জম্মু-কাশ্মীরের সোপোরের লশকর কমান্ডার। ২০২১ সাল থেকে সক্রিয়। আদিলের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী।
২। আসিফ আহমেদ শেখ: জইশ জঙ্গি। অবন্তীপুরার জেলা কমান্ডার। ২০২২ সাল থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত।
৩। এহসান আহমেদ শেখ: পুলওয়ামার লশকর জঙ্গি।
৪। হরিশ নাজির: পুলওয়ামার বাসিন্দা। লশকর জঙ্গি।
৫। আমির নাজির ওয়ানি: জইশ জঙ্গি। পুলওয়ামায় সক্রিয়।
৬। ইয়াবর আহমদ ভট্ট: জইশ জঙ্গি। পুলওয়ামায় সক্রিয়।
৭। আসিফ আহমেদ কন্ডে: সোপিয়ানের বাসিন্দা। ২০১৫ থেকে হিজবুল জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে কাজ করছে। পাক জঙ্গিদের মদতদাতা।
৮। নাসির আহমেদ ওয়ানি: লশকরের সক্রিয় সদস্য। সোপিয়ানের বাসিন্দা।
৯। শাহিদ আহমেদ কুটে: লশকর আর টিআরএফের সঙ্গে যুক্ত। সোপিয়ানে সক্রিয়।
১০। আমির আহমেদ দার: লশকর আর টিআরএফের সক্রিয় সদস্য।
১১। আদনান সফি দার: ২০২৪ সালে লশকর আর টিআরএফ-এ যোগ দিয়েছে। পাক জঙ্গিদের মদতদাতা।
১২। জুবেইর আহমেদ ওয়ানি: হিজবুল জঙ্গি। অনন্তনাগে হিজবুলের অপারেশনাল কমান্ডার।
১৩। হারুন রশিদ গনি: হিজবুল জঙ্গি। অনন্তনাগে সক্রিয়। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে সম্প্রতি।
১৪। জুবেইর আহমেদ গনি: লশকর জঙ্গি। কুলগামে সক্রিয়।