গ্রেফতার হওয়ার পর উন্নাও কান্ডের অভিযুক্ত।
উন্নাওয়ের বিষপ্রযয়োগ করে খুনের মামলায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত নাবালক নয়। ধরা পড়ার পর সে পুলিশকে জানিয়েছিল, তার বয়স ১৪। কিন্তু পরে আধার কার্ডের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, দ্বিতীয় অভিযুক্ত তার বয়স নিয়ে মিথ্যে তথ্য দিয়েছে। সে নাবালক নয়। বরং প্রাপ্তবয়স্কই। উন্নাওয়ের মামলার মূল অভিযুক্ত বিনয় কুমার ওরফে লম্বুর সহযোগী ছিল সে। আপাতত ২ জনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রেমে বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়েই উন্নাওয়ের ৩ কিশোরীকে কীটনাশক মেশানো জল দিয়েছিল বিনয়। তা খেয়ে ১৬, ১৫ এবং ১৪ বছরের ওই ৩ কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মারা যায় ২ জন। ১৬ বছরের কিশোরীটি অবশ্য এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই কিশোরীকেই প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল বিনয়। তার কাছ থেকে মোবাইল নম্বরও চেয়েছিল। কিন্তু বিনয়কে প্রত্যাখ্যান করে সে। পুলিশের অনুমান, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই ১৬ বছরের কিশোরীকে কীটনাশক মেশানো জল দেয় সে। সে সময় তার সঙ্গেই ছিল এই দ্বিতীয় অভিযুক্ত। পুলিশ ২ জনকেই তাদের মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ধাওয়া করে গ্রেফতার করে। জেরায় পুলিশকে নিজের বয়স ১৪ বছর বলে জানায় বিনয়ের সহযোগী।
উন্নাওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভি কে পান্ডে জানিয়েছেন, পরে আধার কার্ড পরীক্ষা করে পুলিশ জানতে পেরেছে সে প্রাপ্তবয়স্ক। গুরুতর শাস্তি এড়াতেই সম্ভবত সে নিজের বয়স কমিয়ে বলেছিল বলে সন্দেহ পুলিশের। নাবালক হলে এই ঘটনায় দ্বিতীয় অভিযুক্তের কম শাস্তি হতে পারত। তবে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় খুনের ঘটনায় ২ অভিযুক্ত সমান শাস্তি পাবে বলে মনে করছে পুলিশ। মৃত কিশোরীর পরিবার ২ জনেরই ফাঁসির দাবি করেছে। যদিও মৃত এক কিশোরীর মায়ের দাবি, মেয়েদের যৌন নির্যাতনও করেছে অভিযুক্তরা। উন্নাও পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy