Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Haryana Clash

থমথমে হরিয়ানা, ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অশান্তির পর স্কুল, কলেজ বন্ধ, পাহারায় সশস্ত্র বাহিনী

গুরুগ্রাম এবং মূল ঘটনাস্থল নুহ্‌ জেলায় সোমবার রাত থেকেই ১৪৪ ধারা জারি। বুধবার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার কোনও স্কুল, কলেজ খোলা যাবে না।

Schools and colleges are shut in parts of Haryana as communal clash broke out.

হরিয়ানায় মোতায়েন সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৫৫
Share: Save:

হরিয়ানায় ধর্মীয় শোভাযাত্রা ঘিরে অশান্তির জেরে মঙ্গলবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ১ অগস্ট, মঙ্গলবার গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদের সমস্ত স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ মানার কড়া হুকুম দেওয়া হয়েছে।

সোমবার রাত থেকে হরিয়ানার একাংশ বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। গুজব ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিস্তীর্ণ এলাকায় রাত থেকে টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও থমথমে গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদের মতো এলাকা।

গুরুগ্রাম এবং মূল ঘটনাস্থল নুহ্‌ (মেওয়াট) জেলায় সোমবার রাত থেকেই ১৪৪ ধারা জারি। নুহ্‌তে ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অশান্তির কারণে দুই হোমগার্ড-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। হোমগার্ডদের গুলি করে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে অশান্তির আঁচ ছড়ায় গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদের মতো এলাকাতেও। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবারের সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে অনেকেই পুলিশকর্মী।

নুহ্‌তে বুধবার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছে। গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদের প্রশাসন পৃথক ভাবে বিবৃতি জারি করে জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কড়া নির্দেশ দিয়েছে। সংঘর্ষের স্থানে বিশাল আধাসামরিক বাহিনী এবং হরিয়ানা পুলিশের এসটিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। ডিজিপি নিজে গোটা ঘটনার তদারকি করছেন।

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ রাজ্যের মানুষকে শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করেছেন। দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।

ঠিক কী হয়েছিল সোমবার রাতে?

নুহ্‌ জেলার খেডলা মোড এলাকায় ‘ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা’ চলাকালীন শোভাযাত্রায় ইট-পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। অবাধে চলে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ। প্রাণ বাঁচাতে কয়েক হাজার মানুষ অদূরের গুরুগ্রামের কয়েকটি ধর্মস্থানে আশ্রয় নেন। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি এবং কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার করে। কিন্তু পরিস্থিতি তৎক্ষণাৎ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

পুলিশ সূত্রের খবর, বজরং দলের নেতা তথা গোরক্ষক মনু মানেসরের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে অশান্তি দানা বাঁধে হরিয়ানায়। তিনি আগের দিনই টুইট করে জানিয়েছিলেন ওই মিছিলে তিনিও অংশ নেবেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ আছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Haryana Clash Section 144 Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy