কমলা হ্যারিস। —ফাইল চিত্র।
যখন তিনি বিদেশে পাড়ি দেন তখন তাঁর বয়স এই বছর উনিশ। তবে আমেরিকার প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মা, ক্যানসার গবেষণার ক্ষেত্রে অন্যতম অগ্রণী সেই শ্যামলা গোপালনকে ভোলেনি তাঁর জন্মভূমি। বিশ্বের প্রতি শ্যামলার অবদানকে সম্মান জানিয়ে নতুন প্রজন্মকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রদানের লক্ষ্যে তেলঙ্গনায় গড়ে উঠেছে তাঁর নামাঙ্কিত একটি প্রতিষ্ঠান—‘শ্যামলা এডুকেশন সোসাইটি’। সম্প্রতি তেলঙ্গনায় উদ্বোধন হয়ে গেল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এই প্রতিষ্ঠানের।
স্বল্প ব্যয়ে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কাছেও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা পৌঁছে দেওয়াই এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য বলে জানালেন এর প্রতিষ্ঠাতা এন সুরেশ। প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘বিশেষত শিক্ষাক্ষেত্রে, ভারতের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রীদের কাছে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।’’ পাল্লা দিয়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্র, পরিবেশ এবং সামাজিক স্তরেও তাদের পরিবেষা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানান সুরেশ। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে তাদের ক্যাম্পাসে পঠনপাঠন শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
শ্যামলা গোপালনের জন্ম ১৯৩৮ সালে, চেন্নাইয়ে। তবে তাঁর বাবা, পেশায় আমলা পি ভি গোপালন ছিলেন চেন্নাই থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণে তিরুবর জেলার তুলাসেন্থিপুরামের আদি বাসিন্দা। মাত্র ১৯ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন শ্যামলা। আমেরিকার ইউসি বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউট্রিশন এবং পদার্থবিদ্যা নিয়ে ডক্টরেট হন তিনি। এর পর মনোনিবেশ করেন ক্যানসার গবেষণায়। সঙ্গে এই রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজেও ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি।
২০২০ সালে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন শ্যামলার মেয়ে কমলা হ্যারিসও। মায়ের সূত্রে তিনিও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। প্রথম মহিলা হিসাবে তো বটেই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান ভাইস-প্রেসিডেন্ট হওয়ার কৃতিত্ব এখন তাঁর মুকুটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy