Advertisement
E-Paper

Supreme Court: কড়া আদালত, ধর্ম সংসদের অনুমতি দিল না উত্তরাখণ্ড

রুরকি এলাকার পদস্থ পুলিশ অফিসার যোগেশ রাওয়ত বলেন, ‘‘যেখানে ধর্ম সংসদ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে ২০০ কনস্টেবল ও হেড কনস্টেবল, শতাধিক ইনস্পেক্টর ও সাব-ইনস্পেক্টর মোতায়েন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে শৈথিল্য দেখানোর প্রশ্ন নেই।’’     

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২২ ০৬:৫৫
Share
Save

উত্তরাখণ্ডের রুরকির ধর্ম সংসদ নিয়ে কঠোর মনোভাব জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আজ রাতে উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, রুরকিতে কোনও ধর্ম সংসদের অনুমতি দেওয়া হবে না। একটি দক্ষিণপন্থী সংগঠন ওই ধর্ম সংসদের আয়োজন করেছিল। আয়োজকদের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করেছে। রুরকিতে যেখানে ধর্ম সংসদ আয়োজনের কথা ছিল, সেই জায়গাটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। আজই সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছিল, ধর্মসংসদে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা-ভাষণ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সেখানে যাতে ঘৃণা-ভাষণ না দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে ওই রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর অন্যথা হলে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব দায়ী থাকবেন বলেও সতর্ক করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

রুরকিতে আগামিকাল ধর্ম সংসদ হওয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি হরিদ্বার-সহ দেশের বেশ কিছু জায়গায় ধর্ম সংসদ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কানি ও বিদ্বেষমূলক ভাষণের অভিযোগ উঠেছে। চলতি মাসের শুরুতে হিমাচল প্রদেশেও ধর্ম সংসদে ঘৃণার ভাষণ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতেই উত্তরাখণ্ড সরকারকে সতর্ক করে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এ এম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ঘৃণার ভাষণ রুখতে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা হলফনামা দিতে জানাতে হবে। উত্তরাখণ্ড সরকারের আইনজীবীকে বিচারপতি খানউইলকর বলেছেন, ‘‘যদি কোনও ঘৃণার ভাষণ দেওয়া হয়, তা হলে আপনাদের ব্যবস্থা নিতেই হবে… যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা মেনেই পদক্ষেপ করতে হবে।’’

শীর্ষ আদালতে উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, কোন বক্তা কী বলবেন তা সে সম্পর্কে আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়। ফলে ঘৃণার ভাষণ রুখতে আগাম পদক্ষেপ করতে অসুবিধা রয়েছে। এর পরেই আদালত বলেছে, ‘‘আগের ধর্ম সংসদগুলির বক্তারাই যদি এখানেও থাকেন, তা হলে অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন। আমাদের কিছু বলতে বাধ্য করবেন না।’’

এর পরেই পদক্ষেপ করে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। ধর্ম সংসদ বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য পুলিশ। রুরকি এলাকার পদস্থ পুলিশ অফিসার যোগেশ রাওয়ত বলেন, ‘‘যেখানে ধর্ম সংসদ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে ২০০ কনস্টেবল ও হেড কনস্টেবল, শতাধিক ইনস্পেক্টর ও সাব-ইনস্পেক্টর মোতায়েন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে শৈথিল্য দেখানোর প্রশ্ন নেই।’’

Supreme Court India Hate speech BJP

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}