Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Supreme Court

প্রমাণ নিয়ে রায়, রেহাই পাবেন রিয়া?

কারও বিবৃতি বা সাক্ষ্যকে হাতিয়ার করে মাদক মামলায় কাউকে জড়ানো সহজ হওয়ায় এর রাজনৈতিক অপব্যবহারও হয় হামেশাই।

ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

নয়াদিল্লি
সংবাদ সংস্থা  শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২০ ০৪:১৬
Share: Save:

পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসার ছাড়া অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া অভিযুক্ত বা অন্য কারও সাক্ষ্য অথবা বিবৃতি আর মামলার প্রামাণ্য নথি হিসেবে গ্রাহ্য হবে না। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ রায়ে সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে নার্কোটিকস কন্ট্রোল বুরো (এনসিবি)-র মাদক মামলায়। কারও বিবৃতি বা সা‌ক্ষ্যকে ভিত্তি করে এত দিন বহু মামলা করে এসেছে এনসিবি, এমনকি সেই মামলায় সাজাও হয়েছে অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন জানিয়েছে— কে কী বলল, সেই বয়ানের বদলে এ বার থেকে ব্যাঙ্ক লেনদেন বা এই ধরনের সরাসরি প্রমাণ দাখিল করতে হবে তদন্তকারীদের। কারও বয়ান বা বিবৃতি প্রমাণ বলে বিবেচনা করা হবে না।

কারও বিবৃতি বা সাক্ষ্যকে হাতিয়ার করে মাদক মামলায় কাউকে জড়ানো সহজ হওয়ায় এর রাজনৈতিক অপব্যবহারও হয় হামেশাই। ক্ষমতাসীন নেতাকে এমন নির্দেশ দিতে শোনা গিয়েছে, “ওর বিরুদ্ধে গাঁজার মামলা দিয়ে দে!” প্রতিপক্ষ দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে মাদক মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার এ রাজ্য-সহ বহু রাজ্যে দেখা গিয়েছে। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরে তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও অন্যদের বিরুদ্ধে এনসিবি যে মাদক মামলা করেছে, তা-ও গোটাটাই কারও বিবৃতি বা সাক্ষ্যকে প্রমাণ হিসেবে ধরে।

তদন্তকারীরা মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের সরাসরি কোনও প্রমাণ আদালতে জমা দিতে না-পারলেও এক মাসের বেশি জেলে থাকতে হয়েছে রিয়াকে। বিচারপতি রোহিংটন এফ নরিম্যানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের এ দিনের রায়ে এই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। অনেকের ধারণা, নতুন রায়ের ফলে মাদক মামলা থেকে রেহাই পেয়ে যেতে পারেন রিয়া।

আরও পড়ুন: সুশান্তে ‘লাভ’ নেই বুঝে চুপ সব দলই

বিচারপতি নরিম্যান ও বিচারপতি সুজিত সিনহা জানিয়েছেন— এনসিবি, শুল্ক, রাজস্ব গোয়েন্দা, সশস্ত্র বাহিনী, আধাসামরিক বা সেন্ট্রাল এক্সাইজ় অফিসারদের নেওয়া সাক্ষ্যকে আর প্রামাণ্য নথি হিসেবে ধরা হবে না। আটক ব্যক্তিকে তাঁরা পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসারের হাতে তুলে দেবেন। পুলিশ অফিসারই কেবল কোনও অভিযুক্ত বা সাক্ষীর বিবৃতি রেকর্ড করতে এবং তার ভিত্তিতে মামলা করতে পারবেন। মামলা হওয়ার পরে এনসিবি বা সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসারেরা অভিযুক্ত বা সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন, যা একান্তই ‘সম্পর্কিত প্রমাণ’ (রিলেটেড এভিডেন্স) হিসেবে গৃহীত হবে।

তিন সদস্যের এই বেঞ্চের আর এক সদস্য বিচারপতি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় অবশ্য এই রায়ে সম্মতি দেননি।

অন্য বিষয়গুলি:

Supreme Court rhea chakraborty
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy