Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
South Asian University

সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষকের সাসপেনশন রদের দাবিতে সরব বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের পদক্ষেপ করতে ‘উস্কানি’ দেওয়ার অভিযোগে চার শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছেন সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

image of sau

সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ১৭:৪৯
Share: Save:

দিল্লির সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় (এসএইউ)-এর চার শিক্ষককে সাসপেন্ড করার বিরোধিতায় বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষক সংগঠনের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই চার শিক্ষকের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হল। এই নিয়ে এসএইউ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছে। শিক্ষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, এই ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে আসলে উচ্চশিক্ষায় বাণিজ্যিকরণের প্রক্রিয়াকেই আরও প্রসারিত করা হচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকে ছিল জয়েন্ট ফোরাম ফর মুভমেন্ট অন এডুকেশন, ফেডারেশন অফ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিস টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, অল ইন্ডিয়া ফোরাম ফর রাইট টু এডুকেশন, জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ ছাড়াও অল ইন্ডিয়া পিপ‌্লস ফোরাম এবং জনহস্তক্ষেপ-এর প্রতিনিধিরাও সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের পদক্ষেপ করতে ‘উস্কানি’ দেওয়ার অভিযোগে চার শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছেন সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বছর গবেষক ছাত্রছাত্রীদের একাংশ তাঁদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। তাতে ‘প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগেই অর্থনীতি বিভাগের স্নেহাশিস ভট্টাচার্য, লিগাল স্টাডিজের শ্রীনিবাস বুরা, সমাজবিজ্ঞানের ইরফানুল্লা ফারুকি এবং রবি কুমারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ১৬ জুন চার জনকে সাসপেন্ড করার মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ওই চার শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি ভেঙেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষকের কথায়, নির্দেশিকায় চার শিক্ষককে কত দিন পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে, কী অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে, এ সব কিছুই লেখা নেই। পাশাপাশি কিছু শর্তও মানতে বলা হয়েছে চার জনকে।

এক শিক্ষকের দাবি, এ ভাবে সাসপেন্ড করার এক্তিয়ারই এই মুহূর্তে কর্তৃপক্ষের নেই। বর্তমান প্রেসিডেন্ট (উপাচার্য)-এর মেয়াদ অনেক দিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। যে হেতু এই বিশ্ববিদ্যালয় সার্ক পরিচালিত, তাই দীর্ঘ দিন সংগঠনের বৈঠক না হওয়ায় নতুন উপাচার্য নিয়োগ করা যায়নি। বর্তমান উপাচার্য কোনও ভাবেই তাঁদের সাসপেন্ড করতে পারেন না বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রদের আন্দোলন সঠিক না ভুল, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি শিক্ষকেরা। পড়ুয়াদের সমর্থনের কথাও জানাননি। আলোচনার পর বিষয়টি মিটমাটের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা।’’

অন্য বিষয়গুলি:

university suspend
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy