প্রতীকী ছবি।
আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়েই ধাতব কিছু পড়ার আওয়াজ পেয়েছিলেন মেরি। প্রথমে ভেবেছিলেন লোহা জাতীয় কিছু হবে। ধাতব জিনিসটি গোলাপি রঙের প্যাকেটে মোড়া ছিল। কিন্তু কৌতুহলবশত সেই প্যাকেটটা খুলতেই ভিরমি খাওয়ার মতো অবস্থা হয় মেরির। ঘটনাটি চেন্নাইয়ের।
ধাতব জিনিস বটে। কিন্তু সে ধাতু কোনও সাধারণ ধাতু ছিল না। ১০০ গ্রামের সোনার কয়েন। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। আবর্জনার মধ্যে সোনার কয়েন পেয়ে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান এবং তাঁদের হাতে তুলে দেন সেটি।
ইতিমধ্যে সেই কয়েনের খোঁজ পড়ে। কয়েনটি গণেশ রমন নামে এক ব্যক্তির। কয়েনটি কিনে তিনি গোলাপি রঙের কাগজে মুড়িয়ে বিছানার নীচে রেখেছিলেন। পরে কয়েনটি বার করতে গিয়ে দেখেন সেটি যথাস্থানে নেই। স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন বিছানার নীচে একটি গোলাপি রঙের কাগজ ছিল সেটি কোথায়। স্ত্রীকে তাঁকে জানান ঘর পরিষ্কার করার সময় সেটা তিনি পেয়েছিলেন এবং আবর্জনার সঙ্গে ফেলে দিয়েছেন। এ কথা শুনে অচৈতন্য হওয়ার মতো অবস্থা হয় গণেশের। কোনও মতে নিজেকে সামলে নিয়ে সোজা স্থানীয় থানায় ছোটেন। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে একটি ডায়েরিও করেন।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ওই এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। তার পরই জানা যায় ওই দিন মেরি আবর্জনা পরিষ্কার করছিলেন। একই সঙ্গে পুলিশ জানতে পারে মেরি ওই কয়েন পেয়ে সেটি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জমাও দিয়েছেন। তার পর থানায় গণেশকে ডেকে পুলিশ তাঁর হাতে ওই সোনার কয়েন তুলে দেয়। মেরির এই কাজের জন্য প্রশংসা করেন গণেশ এবং পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy