—ফাইল চিত্র।
তিন দিনের বদলে এখন সপ্তাহে পাঁচ দিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে অযোধ্যা মামলার। ফলে রাম মন্দির সংক্রান্ত বিবাদের দ্রুত নিষ্পত্তির আশা দেখছে গেরুয়া শিবির। সে কারণে আন্দোলনের ব্যাপ্তি বাড়িয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সাধু-সন্তদের সংগঠনের পরবর্তী নিশানা কাশ্মীর।
শনিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহযোগিতায় অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি ৬০-৭০ জন শীর্ষ সন্তকে দিল্লিতে জড়ো করছে। নব্বইয়ের দশকে জম্মু-কাশ্মীরে যে শতাধিক মন্দির ভাঙা হয়েছিল বলে তাদের অভিযোগ, সেগুলি নতুন করে নির্মাণের জন্য আলোচনা হবে। পরিষদ ও সন্ত সমিতি আজ এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানায়, সপ্তাহে পাঁচ দিন করে শুনানি হলে অযোধ্যার ফয়সালা দ্রুত হবে। এ বার শুধু স্থির করতে হবে, মন্দির হবে কী
ভাবে? তবে সন্তরা গোটা দেশের ৪ লক্ষের বেশি মন্দিরের অবস্থার মূল্যায়ন করবেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমারকে পাশে নিয়ে সন্ত সমিতির স্বামী জিতেন্দ্রানন্দ সরস্বতী বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে সাহসী পদক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। তার জন্য অভিনন্দন। আমাদের আশা বেড়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের ভাঙা মন্দিরগুলি নতুন করে তৈরি হবে। আইনশৃঙ্খলা এখন সরকারের দায়িত্ব। মন্দির তৈরির জন্য আইন এনেও সরকারকে সাহায্য করতে হবে। আগামী ৩-৪ মাসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে মিলে দেশের সব মঠ-মন্দিরে পৌঁছে যাব আমরা।’’ অলোক কুমারের বক্তব্য, ‘‘সরকারের সাহায্য পেলে সমাজকে নিয়ে পরিষদ মন্দির গড়বে।’’
জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এর মধ্যেই কী করে উপত্যকায় মন্দির নির্মাণের তোড়জোড় শুরু করছে
পরিষদ ও সমিতি? সমিতির অবশ্য দাবি, এই কর্মসূচি তাদের অনেক দিনের। গোটা দেশে ৪ লক্ষের বেশি মন্দির রয়েছে রাজ্য সরকারের অধীনে। সেগুলিও ‘যোগ্য হিন্দুদের’ হাতে তুলে দেওয়া উচিত। শনিবার ধর্মস্থান সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলা, রাম সেতু, ধর্মান্তকরণ রোখা, গঙ্গা সংক্রান্ত আইনের চর্চা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy