—ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফল গণনার শুরু। আর তার পরেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ডঙ্কা বেজে যাবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এ সব মিলিয়ে আর আসন্ন সংসদীয় অধিবেশনে মন নেই শাসকপক্ষের।
আজ খুবই দ্রুত সারা হয়েছে সংসদীয় মন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক। প্রতিটি সংসদীয় অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে এই বৈঠকটির পাশাপাশি স্পিকার একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত থাকাটা সংসদীয় রেওয়াজের মধ্যে পড়ে। পাশাপাশি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানও একটি বৈঠক ডাকেন তাঁর কক্ষের নেতাদের নিয়ে। এ বার সে সবের বালাই ছিল না। সর্বদলীয় বৈঠকে কার্যত মূক উপস্থিতি ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর। বিরোধীদের বহু অভিযোগ এবং দাবি তাঁরা শুনে গিয়েছেন শুধু। বৈঠকের পরে বেরিয়ে জোশী একটি দায়সারা বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে তিনি এই অধিবেশনটিকেই সপ্তদশ লোকসভার ‘অন্তিম অধিবেশন’ বলেও উল্লেখ করেছেন। ঘটনা হল, এর পরেও ফেব্রুয়ারি মাসে একটি আংশিক অধিবেশন বসবে বাজেট পাশ করানোর (ভোট অন অ্যাকাউন্ট)। কিন্তু মানসিক ভাবে এটিকেই শেষ হিসাবে ধরে নিচ্ছে মোদী সরকার।
সংসদীয় মন্ত্রী বলেন, “আজ ২৩টি দলের ৩০ জন নেতা বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। অনেক প্রস্তাব পরামর্শ এসেছে। স্বল্পমেয়াদি আলোচনা, জিরো আওয়ারের আলোচনা চাওয়া হয়েছে। আমরা নিয়মিত ভাবেই জিরো আওয়ার চালাই। স্বল্পমেয়াদি আলোচনাতেও সরকারের আপত্তি নেই। কিন্তু বিরোধীদের আমরা বলছি যে, কাঠামো মাফিক আলোচনার জন্য পরিবেশ বজায় রাখাটা খুবই জরুরি। সবাইকে কিছু সংসদীয় নিয়ম মানতে হবে। প্রহ্লাদ জোশীর কথায়, ‘‘সরকার সমস্ত রকম আলোচনার জন্য তৈরি। গত বারের অধিবেশনে আমরা মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য তৈরি ছিলাম। এমনকি রাজ্যসভায় তা ঘোষণাও করি। কিন্তু সব কিছু একটা নিয়ম মেনে হওয়া প্রয়োজন। অধিবেশন ঠিক মতো চলতে দেওয়া চাই।“
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গৌরব গগৈ, প্রমোদ তিওয়ারি এবং জয়রাম রমেশ উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের জমি চিনের দখল করে রাখা থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপব্যবহার করার মতো ১৪টি বিষয় আজ আলোচনায় তোলেন কংগ্রেস নেতারা। বলা হয়, নির্বাচনমুখী পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চারটিতে সিবিআই এবং ইডি-কে কাজে লাগানো হয়েছে বিরোধীদের দাবিয়ে রাখার জন্য। পাশাপাশি জাতভিত্তিক জনগণনার বিষয়টি কবে হবে, তা কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় কংগ্রেস। এসপি এবং মায়াবতীর বিএসপি-ও আজ বৈঠকে এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছে। মণিপুরে যে হেতু অশান্তি এখনও চলছে, তাই তা নিয়ে দুই কক্ষে আলোচনার দাবি তুলেছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, বিরোধীদের দায়িত্ব তাদেরকে পালন করতে দিক সরকার। কেন্দ্র বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে না বলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যাতে সংসদ মুলতুবি হয়ে যাচ্ছে।
বৈঠকে উপস্থিত আরএসপি সাংসদ এন কে প্রেমচন্দন বলেছেন, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধ, সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত। উপস্থিত বেশির ভাগ বিরোধী সাংসদই নতুন দণ্ডসংহিতা আইনের খসড়ায় জোর করে হিন্দি ভাষা ঢোকানোর বিরোধিতা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy