রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক সংস্থায় নিজেদের লোক ঢুকিয়েছে আরএসএস। আর তারাই বর্তমানে দেশের প্রতিটি মন্ত্রক চালাচ্ছে এবং নীতি নির্ধারণও করছে। জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে পৃথক রাজ্য হওয়ার পরে এই প্রথম লে-লাদাখ সফরে এসে বাইকে প্যাংগং হ্রদের উদ্দেশে রওনা হওয়ার ফাঁকে এই মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী।
সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পরে সংসদে অনাস্থা বিতর্কে যোগ দিয়ে নিজের বক্তব্যে রাহুল জানিয়েছিলেন, তিনি লাদাখ সফরে যাবেন। সেই মতোই বৃহস্পতিবার দু’দিনের সফরে রাজ্যে আসার পরে মন বদলে তা ছ’দিনের সফর করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এ দিন লাদাখে দলের কর্মীদের একটি সভায় রাহুলের অভিযোগ, আরএসএস দেশের সাংবিধানিক সংস্থাগুলি-সহ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে। রাহুলের অভিযোগ, সঙ্ঘ পরিবার তাদের ঘনিষ্ঠদের প্রতিটি সাংবিধানিক সংস্থায় ঢুকিয়েছে এবং তাদের মাধ্যমেই প্রতিটি মন্ত্রক থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারণ, সবই করছে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠদের ঢোকানো এবং শীর্ষপদে বসানোর অভিযোগ বহু বার উঠেছে। রাহুল এ দিন সেটাই স্পষ্ট করে জানান।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের মন্ত্রীদের ঘুরিয়ে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, ‘‘আপনার যদি কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, তা হলে জানতে পারবেন, তাঁরা নন, মন্ত্রকগুলো আসলে চালাচ্ছে সঙ্ঘের বসানো কিছু লোক। তারাই সব করছে।’’ রাহুল আগেও অভিযোগ করেছেন, বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার দেশের সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে কাজ করছে। তারা সংবিধান বদলে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও সরব হয়েছেন রাহুল।
কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নানা পদে সঙ্ঘের লোক মন্তব্য নিয়ে রাহুলের সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। ক’দিন আগেই সিএজি রিপোর্টে একাধিক সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে বিপুল গরমিলের অভিযোগ ঘিরে দল এবং মন্ত্রিসভায় বেশ চাপে সঙ্ঘের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘এ সব খুবই হাস্যকর অভিযোগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy