রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার পর ভেমুলা পরিবারের চিত্রটা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। উপার্জনের একমাত্র মানুষ রোহিতের ভবিষ্যতের উপর অনেক কিছু নির্ভর করত। ফাইল চিত্র
২০১৫ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলা। সন্তান বিয়োগের এতদিন পর রোহিতের মা টুইট করে জানালেন, ‘রোহিত ভেমুলার ভাই, আমার ছেলে রাজা আইনজীবী হয়েছে। এ বার থেকে আইনজীবী রাজা ভেমুলা সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবেন। তাঁদের ন্যায় বিচার পাইয়ে দেবে।’
রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার পর ভেমুলা পরিবারের চিত্রটা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। উপার্জনের একমাত্র মানুষ রোহিতের ভবিষ্যতের উপর অনেক কিছু নির্ভর করত। কিন্তু সে চলে যাওয়াতে অথৈ জলে পড়ে পরিবার। শেষে নিজের খরচ চালাতে অটো চালাতে শুরু করেন তাঁর ভাই।
অন্য দিকে পুদুচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। রাজা ভেমুলা জানিয়েছেন, ‘‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ অনেকেই আমাকে চাকরি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনিক সুবিধা নিয়ে চাকরি করতে চাইনি। আমার দাদা, রোহিতও তা চাইত না। তাই নিজে লড়াই করে আজ এই পর্যায়ে পৌঁছেছি। এ বার আমার লক্ষ্য ন্যায়বিচারের আন্দোলনে যোগ দিয়ে লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’’
রাজা আসলে বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রোহিতের মৃত্যুর পর সব যেন পাল্টে যায় তাঁর জীবনে। তিনি জানিয়েছেন, আরও কিছুদিন সময় লাগবে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসতে।
কিন্তু বিজ্ঞানী হতে চাওয়া রাজা আইনজীবী হলেন কেন? তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘জানি না, কোনও দিনই কিছু হতে পারব কি না। তবে চাই এমন একজন মানুষ হতে, যে সামাজিক জীবনে পরিবর্তন আনতে পারবে।’’ সেই কারণে আইনজীবী হওয়া। কিন্তু তিনি পেশার মাধ্যমেও যে সামাজিক আন্দোলনের অংশ থাকতে চান, সেটা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন রাজা।
আরও পড়ুন: এগোতে হলে পিছোতে হবে, মঞ্চের রাজনীতির সরল ধারাপাত
আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে ফের নন্দীগ্রামেই ভোটে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy