—ফাইল চিত্র।
বিধানসভায় ফের পশুখাদ্য কাণ্ডকে খুঁচিয়ে তুলল বিহার বিজেপি। আজ রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদী রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ১৯৮৭-১৯৯৭, এই দশ বছরের চরম আর্থিক দুরবস্থার কথা বলেন। প্রায় হাজার কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, বছরে ১০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কিনতে গিয়ে ২৫০ কোটি টাকার বিল তৈরি করত প্রাণীসম্পদ দফতর। এ ভাবে ধীরে ধীরে অবিভক্ত বিহারের বিভিন্ন ট্রেজারি থেকে অর্থ তছরুপ করা হয়। পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে বন্দি লালুপ্রসাদের দল, আরজেডির বিধায়কদের কাছে তা ছিল অস্বস্তিকর। উপ-মুখ্যমন্ত্রীর ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বক্তব্যের প্রতিবাদে তাঁরা সভা থেকে ওয়াক আউট করেন।
অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই বিজেপির তরফে সুশীল মোদী বিধানসভায় নানা প্রসঙ্গে রাজনীতিকে টেনে আনছেন। কয়েক দিন আগে তিনি জানান, নীতীশের জেডিইউয়ের সঙ্গে বিজেপির জোট দৃঢ়। নীতীশের নেতৃত্বেই আগামী ভোটে তাঁরা লড়বেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা ভোটের পরে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি যে ভাবে শরিক দলগুলিকে সরকারে অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছে তাতে ক্ষুব্ধ নীতীশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জেডিইউ প্রতিনিধি দিতে রাজি হয়নি। কিছু দিন আগে রাজ্য গোয়েন্দারা নীতীশের নির্দেশে আরএসএস ও সঙ্ঘ পরিবারের অন্য সংগঠনগুলির কাজকর্ম নিয়ে খবর সংগ্রহ করতে শুরু করে। সেই খবর প্রকাশ্যে আসায় বিজেপির এক অংশ নীতীশের উপরে ক্ষুব্ধ হয়। বিহারের বন্যা দেখতে গিয়ে নীতীশ হাজির হন আরজেডি নেতা আব্দুল বারি সিদ্দিকির গ্রামের বাড়িতে। মহাজোট সরকারের আমলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন সিদ্দিকি। জল্পনা শুরু হয়, নীতীশ কী তবে বিধানসভা ভোটে বিজেপি-সঙ্গ ফের ছাড়তে চান! পর্যবেক্ষকের মতে, বিধানসভাকে ব্যবহার করে সরকারের থেকে আরজেডিকে দূরে সরাতে চান সুশীল মোদী। নীতীশকে ছাড়া, একক ভাবে বিজেপির বিহার দখল অসম্ভব, তাঁরা গত ভোটেই বুঝেছেন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy