নমাজ পড়া বন্ধ করতে হনুমান চালিশা পাঠ। ছবি সংগৃহীত
নমাজ পড়া বন্ধ করতে হনুমান চালিশা পাঠ— কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরনো বিতর্ক ফের মাথা চাড়া দিল আরও এক বিজেপি-শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে।
গত বেশ কয়েক মাস ধরেই একাধিক বিজেপি-শাসিত রাজ্যে নমাজ বন্ধ করতে আসরে নামছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। কোথাও নমাজ বন্ধ করতে সরাসরি হুমকি দেওয়া তো কোথাও নমাজের জায়গায় নোংরা ফেলা বা সেখানেই হনুমান চালিশা পাঠ করার মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক-সহ একাধিক বিজেপি-শাসিত রাজ্যে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির এমন কাজ নিয়ে বিতর্ক বাধলেও তাতে কান দেয়নি সে সব রাজ্যের সরকার বা বিজেপি। কয়েক সপ্তাহ আগে উত্তরপ্রদেশের লুল্লু মল-এ কয়েক জন হনুমান চালিশা পাঠ করার পরে তীব্র সমালোচনার মুখে কড়া পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য প্রশাসন। তার পরে বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল বিষয়টি। ফের তা মাথা চাড়া দিল বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশে।
রবিবার ভোপালের ডিবি মলে ধর্মীয় উপাসনার জায়গায় মলের কয়েক জন কর্মী যখন নমাজ পড়ছিলেন, তখনই সেখানে হাজির হয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল। তারা বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু করলে মলের নিরাপত্তারক্ষীরা বোঝাতে যান যে, ওই জায়গাটিতে বিভিন্ন ধর্মের লোকেরাই পুজো বা উপাসনা করতে পারেন। ওই জায়গাটি সে কারণেই আলাদা করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সে সবে কান দেয়নি গেরুয়া বাহিনী। তারা শপিং মলটির চলমান সিঁড়ির সামনে ভিড় করে বসে পড়ে উচ্চস্বরে মন্ত্র পাঠ করতে শুরু করে। উঠতে থাকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও। ছুটির দিন হওয়ায় এমনিতেই মলে ভিড় ছিল। তার মধ্যে এমন ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যান সেখানে আসা লোকেরা। অনেকেই ভয় পেয়ে মল থেকে বেরিয়ে যান। পরে পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ বাহিনী। তারা দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে মল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন, মলের কোথাওই কোনও ধর্মীয় আচার পালন করা যাবে না।
জানা গিয়েছে, মল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি মসজিদে নমাজ পড়তে যেতেন সেখানকার সংখ্যালঘু কর্মীরা। তাতে কাজের ক্ষতি হত। সেটা ঠেকাতেই মলের এক কোনে তাঁদের জন্য নমাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিতর্কের মুখে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন মল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy