কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং রেবন্ত রেড্ডি। ছবি: পিটিআই।
ভোটগণনা শুরু হতে বাকি আরও দু’দিন। কিন্তু বুথফেরত সমীক্ষায় তেলঙ্গানায় ক্ষমতা দখলের আঁচ পেয়েই তৎপর কংগ্রেস। দলের অঘোষিত মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রেবন্ত রেড্ডি শুক্রবার দাবি করেছেন, ১১৯ আসনের বিধানসভায় অন্তত ৮০টিতে জিতবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে নয়া মন্ত্রিসভার কর্মসূচিও ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেস নেতা শশী তারুর শুক্রবার জয়ের আগাম অভিনন্দন জানিয়েছেন রেবন্তকে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা মালকাজগিরির সাংসদ রেবন্ত এ বার নিজের পুরনো বিধানসভা কেন্দ্র কোডনগলের পাশাপাশি, কামারেড্ডি থেকেও প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে হাইভোল্টেজ লড়াই চলছে তাঁর সঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর। শুক্রবার রেবন্ত বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে আমরা তেলঙ্গানার জনতাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই তা বাস্তবায়িত করার জন্য প্রস্তাব পাশ করা হবে।’’
ভোটের আগেই বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় এ বার তেলঙ্গানায় কংগ্রেসের ভাল ফলের ইঙ্গিত ছিল। বৃহস্পতিবার ভোট শেষের পরে প্রকাশিত একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, ওই রাজ্যে সরকার গড়ার প্রশ্নে অন্যদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে কংগ্রেস। জনতার প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় অপ্রত্যাশিত ভাবে খারাপ ফল করতে চলেছে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (যিনি কেসিআর নামে পরিচিত) দল বিআরএস। যদি সমীক্ষার ফল বাস্তবে মিলে যায়, তা হলে তেলঙ্গানায় প্রথম বার সরকার গড়া এখন সময়ের অপেক্ষা রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গেদের কাছে।
তবে অন্য কয়েকটি বুথফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস মেনে দু’দলের আসনপ্রাপ্তি যদি প্রায় সমান হয়, তবে ‘নির্ণায়ক’ হয়ে উঠতে পারে বিজেপি এবং ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির ‘ভূমিকা’। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন কেসিআর। ‘কাঁটে কি টক্কর’-এর সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নবনির্বাচিত বিধায়কদের কর্নাটকের রিসর্টে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। আর সেই ‘অপারেশনের’ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy