—ফাইল চিত্র।
ভারত এবং পাকিস্তানের যৌথ গবেষণায় উঠে এল পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের দুরবস্থা। দু’দেশের ম্যানেজমেন্ট সংস্থার যৌথ রিপোর্ট বলছে, জম্মু-কাশ্মীর এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষের অবস্থান, জীবনযাপন, আর্থ-সামাজিক অবস্থানে বেশ ফারাক রয়েছে। রোহতকের আইআইএম-এর অধিকর্তা ধীরজ শর্মা এবং লাহৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স-এর অধ্যাপক ফারাহ আরিফ সম্প্রতি একটি যৌথ সমীক্ষা করেছেন। তাঁরা দু’তরফের ১৪২৫ জন কাশ্মীরবাসীর সঙ্গে কথা বলেছেন। সকলেরই বয়স ৩০ বা কম।
সমীক্ষায় তিনটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক, তাঁরা কি তাঁদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে খুশি? বিশেষ করে আগের প্রজন্মের তুলনায়। দুই, তাঁরা কি নিজের দেশে থেকে যেতে চান? অন্য কোথাও গিয়ে আরও ভাল ভাবে বাঁচতে চান? তিন, শিক্ষা, পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকারের কাজকর্মে কি তাঁরা সন্তুষ্ট। দেখা যাচ্ছে, তিনটি প্রশ্নের উত্তরেই নেতিবাচক উত্তর বেশি এসেছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে। সেখানকার বাসিন্দারা না খুশি তাদের আগের প্রজন্মের তুলনায়, না তাঁরা চান পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে মুখ গুঁজে পড়ে থাকতে। শিক্ষা, পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কেও তাঁদের শংসাপত্র পাওয়া যায়নি। গিলগিট-বালটিস্তানের প্রতি পাঁচ জন ব্যক্তির মধ্যে চার জনই তাঁদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে অসন্তুষ্ট। আর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় অর্ধেক মানুষই তাদের সরকারকে নিয়ে খুশি নয়।
পাকিস্তানের এক অধ্যাপকও এই সমীক্ষাটি করেছেন। ফলে কূটনৈতিক ভাবে এই রিপোর্ট কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, এ বার সেটাই ভাবছে সাউথ ব্লক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy