Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Himachal Pradesh Assembly Election 2022

৪৯% মহিলা ভোটার, মহিলাদের ভোটদানের হারও বেশি, অথচ হিমাচলে জিতলেন শুধু এক মহিলা

২০১৭-এর বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র চার মহিলা প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। তবে সব থেকে শোচনীয় এ বছরের অবস্থা। প্রশ্ন উঠছে হিমাচলে মহিলা প্রার্থীদের কেন এই হাল?

পচ্ছাদ (এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন রীনা।

পচ্ছাদ (এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন রীনা। ছবি: টুইটার।

সংবাদ সংস্থা
ধর্মশালা (হিমাচল প্রদেশ) শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:১৮
Share: Save:

রীনা কশ্যপ। হিমাচলপ্রদেশে ৬৮ বিধানসভা আসনের মধ্যে জয়লাভ করা এক মাত্র মহিলা প্রার্থী। তিনি জিতেছেন ক্ষমতা হারানো বিজেপির টিকিটে। ক্ষমতায় ফিরে আসা কংগ্রেসের এক জন মহিলা প্রার্থীও হিমাচলে জেতেননি।

গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে বৃহস্পতিবার। হিমাচলের ৬৮টি বিধানসভার মধ্যে কংগ্রেসের দখলে ৪০টি আসন। বিজেপি জিতেছে ২৫টিতে। ৩টি আসনে জিতেছে নির্দল প্রার্থী।

হিমাচল নির্বাচনে বিজেপি ছ’জন মহিলা প্রার্থীকে ভোটে দাঁড় করিয়েছিল। কংগ্রেসের তরফে ছিলেন পাঁচ মহিলা প্রার্থী। আপের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিন জন। কিন্তু এঁদের মধ্যে শুধুমাত্র রীনা বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। পচ্ছাদ (এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন রীনা। ২০২১ সালের হিমাচল উপনির্বাচনেও তিনি ওই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। তবে বিগত বিধানসভা নির্বাচনগুলিতেও একই ধারা দেখা গিয়েছিল। কোনও নির্বাচনে দু’জন, তো কোনও নির্বাচনে তিন জন মহিলা প্রার্থী জিতেছিলেন। ২০১৭-এর বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র চার মহিলা প্রার্থী জয়ী হতে পেরেছিলেন। তবে সব থেকে শোচনীয় এ বছরের অবস্থা। অথচ বর্তমানে রাজ্যের মোট ভোটারের প্রায় ৪৯ শতাংশই মহিলা। প্রশ্ন উঠছে হিমাচলে মহিলা প্রার্থীদের কেন এত শোচনীয় অবস্থা?

ফলাফল ঘোষণার পর মিষ্টি বিতরণ চলছে।

ফলাফল ঘোষণার পর মিষ্টি বিতরণ চলছে। ফাইল চিত্র।

যে সব হেভিওয়েট মহিলা প্রার্থী নির্বাচনে হেরেছেন, তাঁরা হলেন কাংড়ার শাহপুরের চারবারের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সারভিন চৌধুরি, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং ডালহৌসির ছয় বারের বিধায়ক আশা কুমারী, ইন্দোরার বিজেপি বিধায়ক রিতা ধীমান, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কৌল সিংহের মেয়ে চম্পা ঠাকুর। চম্পা দাঁড়িয়েছিলেন মান্ডি কেন্দ্র থেকে।

মজার বিষয়, ১৯৯৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে হিমাচলে মহিলা ভোটারদের ভোটদানের হার পুরুষদের তুলনায় বেশি। গত পাঁচটি নির্বাচনেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি। ১৯৯৮ সালে মহিলা ও পুরুষ ভোটারদের ভোটদানের হার ছিল ৭২.২ এবং ৭১.২৩ শতাংশ। ২০০৩ সালে ছিল ৭৫.৯২ এবং ৭৩.১৪ শতাংশ, ২০০৭-এ ৭৪.১০ এবং ৬৮. ৩৬ শতাংশ। ২০১২-তে ছিল ৭৬.২০ এবং ৬৯.৩৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে ছিল ৭৭.৯৮ এবং ৭০.৫৮ শতাংশ।

সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনেও এর অন্যথা হয়নি। ২০২২-এর নির্বাচনে মহিলা এবং পুরুষদের ভোটদানের হার ছিল যথাক্রমে ৭৬.৮ এবং ৭২.৪ শতাংশ।

নির্বাচনের আগে মহিলা ভোটারদের আকৃষ্ট করতে কংগ্রেস এবং বিজেপি, উভয়েই মহিলাদের ক্ষমতায়নের দাবি তুলে সরব হয়েছিল। কিন্তু কোনও পক্ষই বেশি সংখ্যক মহিলাকে প্রার্থী করেনি। হিমাচলে মহিলাদের ক্ষমতায়নের দীর্ঘ দাবি থাকা সত্ত্বেও, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ১৯৬৭ সাল থেকে হওয়া পনেরটি বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৪৩ জন মহিলা বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Himachal Pradesh Assembly Election 2022 BJP Congress politicians
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy