ধর্ষণের ঘটনার তিন মাস পর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরীর। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের ঘটনা। গত ১৫ অগস্ট ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার এক আত্মীয়-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, নাকি সে নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুলন্দশহরের পুলিশ সুপার সন্তোষকুমার সিংহ সাংবাদিকদের জানান, গত ১৫ অগস্ট ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওই কিশোরীর এক আত্মীয়-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।”

পুলিশ সুপার বলেন, “কিশোরী নিজেই গায়ে আগুন লাগিয়েছে, নাকি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের কাছে কিশোরীর পরিবার যে অভিযোগ দায়ের করেছে তাতে বলা হয়েছে, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য কিশোরীকে হুমকি দিচ্ছিলেন অভিযুক্তের কাকা। মামলা না তোলায় তাকে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযুক্তের পরবারের সদস্যরা।” গাফিলতির অভিযোগে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

আরও পড়ুন: অক্টোবরে কর্মহীন ১৮ লক্ষ, মে মাসের পর সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র কর্মসংস্থানে

মঙ্গলবারই রাজ্যের কানপুরে সাত বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার পর খুন করে যকৃৎ কেটে নেয় দুষ্কৃতীরা। তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হাথরস ধর্ষণ কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। সেই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং রাজ্য পুলিশের ভূমিকা দেশ জুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে। তার প্রায় দু’মাসের মাথায় পর পর ধর্ষণের ঘটনায় যোগীর রাজ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।