একসঙ্গে রামদেব এবং নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েক মাস। কিন্তু নির্বাচনে জিতে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন যোগ গুরু রামদেব। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল বলেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে বলে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন তিনি। রামদেবের এই মন্তব্য তাৎপর্য্পূর্ণ কারণ, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি ছিলেন কট্টর মোদী সমর্থক। সেই নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল রামদেবের। অথচ এই নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই মন্তব্যে স্পষ্ট, এ বার মোদীর হয়ে বাজি ধরায় এখনও ধন্দ আছে যোগ গুরুর।
তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে সংবাদ সংস্থাকে রামদেব জানিয়েছেন, ‘‘দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন খুবই জটিল। এখনও বলা যাচ্ছে না, কে হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।’’
রামদেবের এই মন্তব্য সামনে এল পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার দুই সপ্তাহের মধ্যে। এই নির্বাচনে হিন্দি বলয়ের তিনটি রাজ্য, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের শাসনভার হাতে নিয়েছে কংগ্রেস, তেলঙ্গানায় ক্ষমতায় এসেছে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও এবং মিজোরামে কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট। পাঁচ রাজ্যের এই ফলাফল দেখেই কি বিজেপি বা মোদীর উপর আস্থা হারালেন যোগ গুরু।
সংবাদ সংস্থাকে অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমার রাজনীতিতে উৎসাহ নেই। আমাদের কোনও রাজনৈতিক বা ধর্মীয় এজেন্ডা নেই। আমরা চাই আধ্যাত্মিক দেশ ও আধ্যাত্মিক পৃথিবী। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমরা কোনও দলকেই সমর্থন বা বিরোধিতা করবো না। ’’
আরও পড়ুন: ‘সভাপতি হলে দলের ব্যর্থতার দায় নিতাম’, নাম না করে অমিত শাহকে খোঁচা গডকড়ীর
রাজনীতিতে রামদেবের এই বৈরাগ্য অবশ্য একেবারেই সাম্প্রতিক। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি ছিলেন কট্টর মোদী সমর্থক। সেই নির্বাচনে বিজেপির প্রচারে জড়িয়ে ছিলেন আগাগোড়াই। এক বছর পর হরিয়ানায় বিজেপি সরকার তাঁকে রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ঘোষণা করে। পাশাপাশি তাঁকে দেওয়া হয়েছিল ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদা। অর্থাৎ, পুরোদস্তুর ধর্মীয় জগতের মানুষ হলেও বিজেপির সঙ্গে ছিল তাঁর অন্তরঙ্গ ওঠাবসা।
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে দেওয়া হল এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত, অনিশ্চিত গর্ভের শিশুর ভবিষ্যৎ
এ হেন রামদেব কি তাহলে বিজেপির ওপর আস্থা হারালেন? তাঁর মন্তব্যে সেই ইঙ্গিতই পাচ্ছে দেশের রাজনৈতিক মহল।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy