যোগগুরু রামদেব। — ফাইল চিত্র।
সু্প্রিম কোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন যোগগুরু রামদেব। তিনি একা নন, পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) তথা রামদেবের সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণও শীর্ষ আদালতে হলফনামা দাখিল করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। পাশাপাশি, রামদেবরা জানিয়েছেন, তাঁরা আদালতকে আশ্বস্ত করতে চান যে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি আর করবেন না।
‘অসত্য বিজ্ঞাপন’ মামলায় বার বার সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে রামদেব এবং তাঁর সংস্থা পতঞ্জলিকে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগও উঠেছিল রামদেবদের বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন যোগগুরু। সেখানেই শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রামদেবকে। যদিও আদালতের নির্দেশ অমান্য নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমাও চান রামদেব। যোগগুরুর আইনজীবী হাত জোড় করে আদালতকে বলেন, ‘‘আমরা ক্ষমা চাইতে চাই এবং আদালত যা বলবে তা মানতে প্রস্তুত।’’ এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে, ‘‘ফল ভোগ করার জন্য তৈরি থাকুন।’’
এই মামলায় গত মাসে রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণকে তলব করেছিল শীর্ষ আদালত। আদালত অবমাননা সংক্রান্ত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলিকে নোটিস দিয়ে কৈফিয়ত তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই নোটিসের কোনও জবাব না মেলায় ক্ষুব্ধ আদালত।
সেই মামলায় রামদেবদেরকে হলফনামা দিতে বলা হয়েছিল। সেই হলফনামায় যোগগুরু বলেন, ‘‘আমি বিজ্ঞাপনের ইস্যুতে আমার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি আদালতের কাছে। এই ত্রুটির জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমি আদালতকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই একই ভুলের পুনারাবৃত্তি হবে না। আমি আরও অঙ্গীকার করছি বিবৃতিতে উল্লিখিত সব কথাই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলব। অনুরূপ কোনও বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হবে না।’’
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে পতঞ্জলিকে বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসাবে নিজেদের ওষুধ সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ প্রচার করার বিষয়ে সতর্ক করেছিল শীর্ষ আদালত। জরিমানা হতে পারে বলেও মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে সেই মামলাতেই কেন্দ্রের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই ধরনের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গোটা দেশকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। আইএমএ-র অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও আনা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। আর তার জন্য ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল আইএমএ-র। গত বছরের নভেম্বরে মামলাটির শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে শীর্ষ আদালত ‘পতঞ্জলি’কে সমস্ত বৈদ্যুতিন মাধ্যমে এবং সংবাদপত্রে সব ‘মিথ্যা’ বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy