একসঙ্গে: সুপ্রিম কোর্টের বাইরে আবেদনকারী এবং আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই।
নিছক জমি বিবাদ, আর কিচ্ছু নয়। সুপ্রিম কোর্ট তার আতস কাঁচ দিয়ে অযোধ্যার রামমন্দির-বাবরি মসজিদ মামলায় এর বেশি কিছু খুঁজবে না।
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি আবদুল নাজিরের বেঞ্চ প্রথম দিনেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, অযোধ্যা মামলা নেহাতই একটি জমি জটের ঘটনা। আদালত কোনও রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কথা শুনবে না। শুধু মাত্র জমি বিবাদের ঘটনা হিসেবেই মামলাটিকে দেখবে।
আজ থেকে সুপ্রিম কোর্টে রামমন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। রামচরিত মানস-সহ বেশ কিছু হিন্দি বইয়ের প্রয়োজনীয় অংশের অনুবাদ জমা না পড়ায় আজ শুনানি বেশি দূর এগোয়নি। পরবর্তী শুনানি ১৪ মার্চ।
গত ডিসেম্বরে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডের হয়ে কপিল সিব্বল দাবি তুলেছিলেন, এই মামলার শুনানি ২০১৯-এর ভোটের পরে হোক। কারণ এই মামলা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা হবে। সুপ্রিম কোর্ট সেই দাবি খারিজ করে দেয়। আজ আবার সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হয়ে প্রবীণ আইনজীবী রাজীব ধবন প্রতি দিন শুনানির দাবি তোলেন। এ প্রসঙ্গে কোনও আশ্বাস দেননি প্রধান বিচারপতি। উল্টে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কখনওই বলিনি যে, প্রতি দিন এই মামলার শুনানি হবে।’’
ইলাহাবাদ হাইকোর্ট ২০১০-এ বিতর্কিত জমি তিনটি অংশে ভাগ করে দিতে বলেছিল। তাতে এক ভাগ পেত সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, এক ভাগ নির্মোহী আখাড়া, অন্য ভাগটি রামলালা বিরাজমান। তার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে ১৪টি মামলা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের হয়ে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা জানান, ৫০৪টি নথি সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে। ৮৭টি সাক্ষ্য, তার অনুবাদ, আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ছবি-সহ রিপোর্ট জমা পড়েছে। কিন্তু আইনজীবী এজাজ মকবুল বলেন, ইলাহাবাদ হাইকোর্টে বহু হিন্দি বইয়ের উপর ভরসা করা হয়েছিল। এর অনেকগুলিরই অনুবাদ জমা পড়েনি। নথি হিসেবে থাকা ভিডিও ক্যাসেটগুলিও সকলে পাননি। ৭ মার্চের মধ্যে এগুলি জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy