সম্প্রতি রাজস্থানের চুরুতে সরদারশহর থানায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও তাঁর বৌদিকে গণধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল দেশ। জয়পুরের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নির্যাতিতা বলেন থানায় তাঁর উপর পুলিশকর্মীদের অত্যাচারের কথা।
অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। এফআইআর-এ মহিলা বলেছেন, ‘‘থানায় নিয়ে গিয়ে জবরদস্তি আমায় সকলের সামনে নগ্ন হতে বাধ্য করে পুলিশ। গালিগালাজ করে। এমনকি গায়ে পেট্রল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।’’ অভিযোগ, লকআপের মধ্যে ওই দলিত মহিলাকে গণধর্ষণ করে সরদারশহর থানার তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার (এসএইচও) রণবীর সিংহ ও পাঁচ থেকে সাত জন পুলিশকর্মী। বিদ্যুতের তার জড়িয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে উপড়ে ফেলা হয় নখ।
মহিলার স্বামীর দাবি, ৩০ জুন চুরির অভিযোগে তাঁর ২২ বছরের ভাই নেমিচাঁদকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। কয়েক দিন আটকে রাখার পর ৩ জুলাই ভাইকে নিয়ে পুলিশ ফেরত আসে। ভাইকে বলা হয়, শেষ বারের মতো পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নিতে। এ বার সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকেও তুলে নিয়ে যায়। ৬ জুলাই সকালে নেমিচাঁদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে দিন রাতেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। নির্যাতিতা জানান, তাঁর সামনে নেমিচাঁদকে পিটিয়ে খুন করেছে পুলিশ। যদিও হাসপাতালের রিপোর্টে লেখা, হৃদ্রোগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ১০ জুলাই বিধ্বস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন নির্যাতিতা।
এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই সরদারশহর থানার এসএইচও-সহ ছয় পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, বেআইনি ভাবে আটকে রাখা, ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধে হিংসা প্রদর্শন-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজস্থান সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy