অশোক গহলৌত ও কলরাজ মিশ্র।
আরও ব্যাখ্যা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের দেওয়া প্রস্তাব সোমবার ফের ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। ফলে রাজস্থানে রাজ্যপাল বনাম কংগ্রেসের সঙ্ঘাত পর্ব আরও জটিল হয়ে উঠল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
৩১ জুলাই অধিবেশন শুরুর প্রস্তাব দিয়ে গহলৌত এ দিন রাজ্যপালের কাছে ফের এক দফা প্রস্তাব পাঠান। গত কয়েক দিন ধরেই বিধানসভার অধিবেশনের দাবি নিয়ে কংগ্রেস এবং রাজ্যপালের মধ্যে একটা টানাপড়েন চলছে। এর আগেও গহলৌতের প্রস্তাব খারিজ করে তাঁকে অন্য প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল।
রবিবার গহলৌত ফের এক দফা নতুন প্রস্তাব পেশ করেন রাজ্যপালের কাছে। সেই প্রস্তাবেও বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এই অধিবেশন ডাকা যে জরুরি প্রস্তাবে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেছিলেন গহলৌত। নতুন প্রস্তাবটি খারিজ না করলেও বিষয়টি নিয়ে তিনি চিন্তাভাবনা করছেন বলেও জানান রাজ্যপাল।
কিন্তু সোমবার ছবিটা একদম বদলে যায়। গহলৌতের কাছে আরও ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্যপাল সেই প্রস্তাব ফেরত পাঠিয়ে দেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, বার বার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাধার সৃষ্টি করছেন রাজ্যপাল। কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “আমরা চাইছি আস্থাভোট হোক। এর জন্য আর্জিও জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে।” এর পরই তাঁর অভিযোগ, ‘তোতাপাখির বুলি’ বলছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনেই অধিবেশনের বিষয়টি নিয়ে উদাসীনতা দেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: আস্থা ভোটে কংগ্রেসকে সমর্থন নয়, রাজস্থানে দলীয় বিধায়কদের হুইপ জারি বিএসপির
অন্য দিকে, রাজভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে রবিবারই মুখ্যসচিব রাজীব স্বরূপ, ডিজি ভূপেন্দ্র সিংহ যাদবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। সোমবার ফের বিক্ষোভ প্রদর্শনের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। যদিও পরে তা স্থগিত করে তারা। রাজ্যের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে রাজভবনের তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়, কংগ্রেসের বিক্ষোভ প্রদর্শনের কারণে রাজভবনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে বিঘ্নিত না হয় সেই বিষয়টি মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে রাজ্যপালের এই বৈঠককে ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। রবিবার এই বৈঠকের পরই কংগ্রেস নেতা গোবিন্দ সিংহ দোতাসরা বলেন, “গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে বাঁচাতে কংগ্রেস বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে। রাজস্থান ছাড়া গোটা দেশে রাজভবনের বাইরে এই বিক্ষোভ চলবে।”
বিদ্রোহী উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটকে দলবিরোধী কাজের জন্য ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করেছে দল। দলের হুইপ সত্ত্বেও পরিষদীয় বৈঠকে যোগ না-দেওয়ায় বিধায়ক পদ থেকেও তাঁকে অনুগামী-সহ সাসপেন্ড করেছেন বিধানসভার স্পিকার। এর পরে সচিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে তাঁকে ও তাঁর অনুগামীদের দেওয়া স্পিকারের শাস্তিকে বেআইনি ঘোষণার আবেদন জানান। হাইকোর্ট অন্তর্বর্তিকালীন সময়ের জন্য সচিনদের বিরুদ্ধে শাস্তি স্থগিত করে দেয়। কংগ্রেস নেতৃত্ব এর পরে সুপ্রিম কোর্টে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বলে, শাস্তি দেওয়ার অধিকার ও ক্ষমতা বিধানসভার স্পিকারের আছে। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ খারিজ করা হোক। সর্বোচ্চ আদালত জানায়, শাস্তি নিয়ে সিদ্ধান্তের আগে স্পিকারের ক্ষমতা ও অধিকারের প্রশ্নটি খতিয়ে দেখতে হবে। সোমবার এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠলে স্পিকার সিপি জোশী তাঁর আবেদন তুলে নেন। তিনি জানান, হাইকোর্ট নতুন যে নির্দেশ জারি করেছে, আইনি বিশেষজ্ঞ দল তা খতিয়ে দেখার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy