পশ্চিমবঙ্গে রেলের প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচের ৪৩টি প্রকল্প চালু আছে। তার মধ্যে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ওই সব প্রকল্পে প্রায় ২০ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা খরচ করেছে রেল। বিভিন্ন প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য রাজ্যে মোট ৪০৯৩ হেক্টর জমি প্রয়োজন হলেও এ পর্যন্ত মাত্র ১০৮৬ হেক্টর জমির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা মোট প্রয়োজনের মাত্র ২৬.৫ শতাংশ। রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
রেল সূত্রের দাবি, ২০১০-১১ সালের দীঘা-জলেশ্বর রেল প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ না হওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গে ওই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু করা যায়নি। ওড়িশা সরকারের তৎপরতায় সেখানে জলেশ্বর থেকে চন্দনেশ্বরের মধ্যে ৪২.৫৬ কিলোমিটার পথে রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। এ ছাড়াও বঙ্গে নবদ্বীপ ধাম-নবদ্বীপ ঘাট, সাঁইথিয়া বাইপাস, দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম এবং বালুরঘাট- হিলি রেল প্রকল্পের কাজও শেষ করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে নবদ্বীপ ঘাট থেকে নবদ্বীপ ধাম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে ১০৬.৭১ হেক্টর জমির প্রয়োজন হলেও জমি মেলেনি। জমি জোগাড়ে প্রশাসনিক অসহযোগিতার অভিযোগ করেছে রেল। একই অবস্থা পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সাঁইথিয়া বাইপাস লাইন নির্মাণের ক্ষেত্রেও।
পূর্ব মেদিনীপুরের দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল পথের জন্য ৭৮.৫১ হেক্টর জমির মধ্যে ১২.৫৫ হেক্টর জমির ব্যবস্থা হয়েছে। বালুরঘাট-হিলি প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন ১৫৬.৩৮ হেক্টর জমি। মিলেছে ৯৫.১২ হেক্টর। জমির অভাবে প্রকল্প শেষ করা যাচ্ছে না বলে জানান রেলমন্ত্রী। ২০২১ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের ১০২টি সমীক্ষাও হয়েছে। যার মধ্যে ১৫টি নতুন লাইন, ৮৫টি ডাবল লাইন এবং ২টি লাইনের মাপ (গেজ) পরিবর্তন সংক্রান্ত বলেও রেলমন্ত্রী জানান।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)