কর্নাটকে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। ছবি পিটিআই।
কর্নাটকে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ আজ দ্বিতীয় দিনে পড়ল। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আজ সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ রাহুলের পদযাত্রা শুরুর কথা ছিল। তবে বৃষ্টির জেরে তা ৪৫ মিনিট পিছিয়ে যায়। এর পরেই তোনডাভাড়ি গেট থেকে শুরু হয় যাত্রা।
বৃষ্টিতে বিঘ্ন ঘটলেও তা থামতেই বিপুল সংখ্যক সদস্য-সমর্থক রাহুলের সঙ্গে যোগ দেন। রাহুলের সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, তার পুত্র যতীন্দ্র, কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ডি কে শিবকুমার, এইচ সি মহাদেবাপ্পা, এম বি পাটিল, কে জে জর্জ, প্রিয়ঙ্কা খড়্গেরা। চামরাজনগর জেলার গুন্ডলুপেট অঞ্চলে কালালে গেট পর্যন্ত চলে পদযাত্রা।এর পরে এক দফা বিশ্রাম নিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ ফের শুরু হয় রাহুলের যাত্রা। বিকেলের সফর শুরুর আগে কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা জানান, মাইসুরুর তাণ্ডবপুরা পর্যন্ত আজ হাঁটবেন রাহুল।
গতকাল তামিলনাড়ুর গুডালুর থেকে কর্নাটকের গুন্ডলুপেটে পৌঁছেছিলেন রাহুল। কর্নাটকে ২১ দিনের সফরে ৫১১ কিলোমিটার পদযাত্রার সূচি নির্ধারিত রয়েছে রাহুলের। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে রাহুলের এই সফর কংগ্রেসকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর তার জেরেই বিজেপির উদ্বেগ বাড়ছে বলে মনে করেন তাঁরা।
বিতর্ক শুরু হয়েছে বিজেপির এক বিজ্ঞাপন ঘিরেও। একটি কন্নড় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল বিজেপি। তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর বক্তব্য, রাহুলের পদযাত্রার সাফল্যে উদ্বিগ্ন বিজেপি। তার জেরেই ইতিহাস বিকৃতিতে নেমেছে। এর সঙ্গেই রমেশের টুইট, ‘‘সাভারকর দুই দেশের তত্ত্ব প্রস্তাব করেছিলেন। তা কার্যকর করেন জিন্না।’’ বঙ্গ বিভাজনের জন্য জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নিশানা করেন রমেশ।
বিজেপি বার বার কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সেই বিষয়টি নিয়ে রমেশ বলেন, ‘‘কংগ্রেস যখন ভারত জুড়ছে প্রশ্ন উঠেছে ভারতকে ভাঙছেন কে? আমাদের উত্তর, মোদীর আদর্শ, নীতি, ব্যক্তিত্ব ভারতকে ভাঙছে। আর্থিক অসাম্য বাড়ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে সামাজিক মেরুকরণ, রাজনৈতিক কেন্দ্রীকরণও। সেই কারণেই কংগ্রেস এই যাত্রা শুরু করেছে।’’ এই যাত্রার জন্য বিজেপি ও আরএসএস ‘ব্যাকফুটে’, রীতিমতো চিন্তিত বলেও উল্লেখ করেছেন রমেশ।
এ দিকে রাজ্যে রাহুলের পদযাত্রা চলাকালীন কংগ্রেসের এক সমর্থককে গ্রেফতার করা নিয়েও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। অভিযোগ, অক্ষয় কুমার নামে ওই যুবক ‘পেসিএম’ লেখা টি-শার্ট পরেছিলেন। গুন্ডলুপেট পুরসভার সদস্য কিরণ গোদওয়া টি-শার্টের ওই লেখা নিয়ে আপত্তি জানান। তিনিই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান যে, ওই কংগ্রেস কর্মী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে অপমান করেছেন। এর পরেই সক্রিয় হয় পুলিশ। অক্ষয়কে প্রথমে চামরাজনগর পর্যন্ত হাঁটানো হয়। এমনকি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, জোর করে অক্ষয়ের জামা খুলিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। মারধরও করা হয়। সেই ভিডিয়ো রিটুইট করে যুব কংগ্রেস নেতা শ্রীনিবাস বিভি বোম্মাইয়ের উদ্দেশে টুইট করে বলেন, ‘‘আপনি ভয় পাচ্ছেন কেন? গোটা দেশের মানুষ জানেন পেসিএম কে!’’
প্রসঙ্গত, বোম্মাই প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে বিরাট অঙ্কের কমিশন নিচ্ছেন মন্ত্রী-নেতারা। তার জেরেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে পেসিএম বলে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা শিবকুমারও অভিযোগ তুলেছেন, সরকারি কাজের বরাত পেতে ৪০ শতাংশ কমিশন দিতে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy