১৪৫ দিন ধরে ১২টি রাজ্য এবং দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে হেঁটেছেন রাহুল। — ফাইল ছবি।
সোমবার শ্রীনগরে শেষ হচ্ছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের তরফে ২১টি বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, ১২টি বিরোধী দলের প্রতিনিধি যোগ দেবেন সেই অনুষ্ঠানে। যোগ দিচ্ছে না তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, তেলগু দেশম পার্টি (টিডিপি)।
শ্রীনগরে সোমবার রাহুলের যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এমকে স্টালিনের দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাজাগাম (ডিএমকে), শরদ পাওয়ারের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ), উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই, ভিসিকে, কেরল কংগ্রেস, ফারুক আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স, মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি), শিবু সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিনিধিরা।
শনিবার রাহুলের যাত্রায় ফের পা মেলান বোন প্রিয়ঙ্কা। শুক্রবার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যাত্রা। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের অবন্তীপোরার চেরসু গ্রাম থেকে শুরু হয় যাত্রা। তাতে শামিল হন পিডিপি নেত্রী মেহবুবাও।
স্থানীয় পুলিশ যদিও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ মানেনি। পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার শনিবার জানিয়ে দেন, রাহুলের যাত্রায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি। কংগ্রেস এই দাবি মানতে চায়নি। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি এও জানিয়েছেন, সোমবার যাত্রার শেষ দিনে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। তাই খাড়্গের আর্জি, ‘‘আমি কৃতজ্ঞ থাকব, যদি আপনি এ বিষয়ে ব্যক্তিগত ভাবে হস্তক্ষেপ করেন এবং উদ্দিষ্ট নিরাপত্তারক্ষীদের যথেষ্ট নিরাপত্তা দেওয়ার পরামর্শ দেন।’’
গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছিল রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। ১৪৫ দিন ধরে ১২টি রাজ্য এবং দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে হেঁটেছেন রাহুল। জনসংযোগ গড়ে তুলেছেন। কন্যাকুমারী থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত মোট ৩,৯৭০ কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন রাহুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy