রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
আপাতত কেরলের বৈদ্যশালায় হাঁটুর পুরনো ব্যথার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা শেষ হলে ১৫ অগস্ট থেকেই রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব শুরু করতে চাইছিলেন। তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, এত তাড়াতাড়ি সব প্রস্তুতি শেষ হবে না। তাই আপাতত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করা বলে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তা না হলে মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী ২ অক্টোবর থেকে রাহুল গান্ধী ফের পূর্ব-পশ্চিম ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করবেন। সে ক্ষেত্রে পশ্চিম ভারত থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হবে। শেষ হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়।
প্রথমবারের ভারত জোড়ো যাত্রা উত্তরপ্রদেশকে শুধুমাত্র ছুঁয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ বার ভারত জোড়ো যাত্রার অনেকটা অংশ জুড়েই থাকবে উত্তরপ্রদেশ। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, উত্তরপ্রদেশ থেকে লোকসভার আসনসংখ্যা সবথেকে বেশি। সেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে না পারলে লোকসভা নির্বাচনে ‘ইন্ডিয়া’ জোট লড়াইয়ের জায়গাতেই থাকবে না। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এ বার তাই উত্তরপ্রদেশে ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুলের সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, আরএলডি প্রধান জয়ন্ত চৌধরিকে শামিল করানোর চেষ্টা চলছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে রাহুলের সঙ্গে যাত্রায় দুই নেতাই পা মেলাতে পারেন। দ্বিতীয় বার ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর আগে মুম্বইয়ে ২৫ ও ২৬ অগস্ট ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে যোগ দেবেন রাহুল। সেখানে সমস্ত বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের তাঁর সঙ্গে যাত্রায় যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানাবেন রাহুল।
গত বছর কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রার শুরুতেই রাহুলের হাঁটুর ব্যথা শুরু হয়েছিল। রাহুল বলেছিলেন, ছোটবেলায় খেলতে গিয়ে পাওয়া চোট ফের মাথা চাড়া দেয়। পরে হাঁটতে হাঁটতে তা মিলিয়ে যায়। দ্বিতীয় দফার ভারত জোড়ো যাত্রায় নামার আগে রাহুল মমল্লপুরমের কোট্টাকালে আর্য বৈদ্যশালায় হাঁটুর চিকিৎসা করাচ্ছেন। সেখান থেকেই আজ ভিডিয়ো কনফারেন্সে রাহুল যুব কংগ্রেসের অধিবেশনে যোগ দেন। রাহুল দলের যুব নেতাদের বলেন, ‘‘ভারত জোড়ো যাত্রা দেখিয়ে, মানুষের মধ্যে যান, তাঁদের বুকে টেনে নিন, একটু কষ্ট করুন, একটু যন্ত্রণা সহ্য করুন।’’
ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুলের মন্ত্র ছিল, তিনি ‘নফরতের বাজার’-এ ‘মহব্বতের দোকান’ খুলতে এসেছেন। এ দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রাজস্থানে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছেন, কংগ্রেসের অর্থ হল, ‘ঝুটের দোকান, লুটের বাজার’। রাহুল পাল্টা মোদীকে নিশানা করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে মুখ খোলেননি। কিছুই করেননি। বিমানে চেপে ইম্ফলেও যাননি। সবাই আশ্চর্য। আসলে মোদী বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি মণিপুর নিয়ে ব্যথিত নন। তিনি শুধু বাছাই করা কিছু ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী, আরএসএসের প্রধানমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy