(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং (ডান দিকে) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী । —ফাইল চিত্র।
মণিপুর প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন, তা নিয়ে আজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তুলতেই পাল্টা আক্রমণের মুখে পড়লেন তিনি। বিজেপির পক্ষ থেকে আজ তাঁকে ‘হতাশ শাসক’ হিসাবে কটাক্ষ করা হল।
দু’দিনের জন্য ফ্রান্স সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত কাল বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এ দিকে দেশে গত দু’মাস ধরে বিজেপিশাসিত মণিপুর অশান্ত। সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে আজ ফের প্রশ্ন তোলেন রাহুল। টুইট করে তিনি বলেন, ‘‘মণিপুর জ্বলছে। ইউরোপীয় সংসদে ভারতের অভ্যন্তরীণ (মণিপুর) বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিরুত্তর। এরই মধ্যে রাফাল ক্রয় তাঁকে বাস্তিল দিবসের শোভাযাত্রায় উপস্থিত থাকার টিকিট জুগিয়েছে।’’ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে মণিপুর, অরুণাচল, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, সিকিম ও মেঘালয়ের নেতাদের নিয়ে আজই বৈঠকে বসেছিলেন। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়েও সেখানে কথা হয়। খড়্গে বলেন, ‘‘মোদীর ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি বাস্তবে ‘অ্যাক্ট লিস্ট’ নীতিতে পর্যবসিত হয়েছে।’’ মিজোরামের নেতাদের নিয়ে বৈঠক আগেই হয়ে যাওয়ায় এই বৈঠকে তাঁরা ছিলেন না।
তবে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রাহুলের আক্রমণের কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি রাহুলকে ‘হতাশ শাসক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘(রাহুল) এমন এক জন ব্যক্তি, যিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগত হস্তক্ষেপের দাবি জানান। তিনি এক জন হতাশ শাসক, যিনি আত্মনির্ভর ভারতের নিন্দা করেন, যিনি জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং প্রতিরক্ষা চুক্তিতে রাজবংশের কোনও ভূমিকা না থাকায় হতাশ।’’
স্মৃতিকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে এর পর কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতে কুস্তিগিরদের আন্দোলনে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সুপ্রিয়া বলেন, ‘‘তিনি (স্মৃতি) এমন এক জন মহিলা, যিনি অন্য মহিলার উপরে যৌন হেনস্থা হলেও চুপ করে থাকেন, যিনি খেলোয়াড়দের যৌন শোষণেও নীরব থাকেন। আসলে হতাশ ব্যক্তি হলেন উনিই।’’
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে রাফাল দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল। এ যাত্রা ফের রাফাল বিমান কেনার প্রশ্নে চুক্তি করতে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সেটা লোকসভা ভোটের আগে নতুন করে আক্রমণের সুযোগ করে দিয়েছে রাহুলকে। বিজেপি শিবির মনে করছে, আগামী দিনে ফের রাফাল দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর কৌশল নিতে পারেন রাহুল। তাই রাহুলকে ঠেকাতে এখন থেকেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়টি উল্লেখ করে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে রাফাল দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে অনেক আগেই মীমাংসা হয়ে গিয়েছে। সে সময়ে শীর্ষ আদালত রাহুলকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দিকে আঙুল তোলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আশা করি রাহুল তা ভোলেননি।’’
অন্য দিকে রাহুলের মণিপুর সফরের পরেই ইউরোপীয় সংসদে মণিপুরের হিংসা নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা প্রকাশের মধ্যে কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির আইটি শাখার প্রধান অমিত মালবীয়। তিনি বলেন, ‘‘যাদের মণিপুরের সঙ্গে দূর-দূরান্তের কোনও সম্পর্ক নেই, সেই ইউরোপীয় সংসদ রাহুলের মণিপুর সফরের পরেই তা নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করল। এটা কখনওই সমাপতন হতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy