ছবি: রয়টার্স।
প্রচারটি শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে। বোঝানো হচ্ছে, গত মাস থেকেই বেহাল অর্থনীতির হাল ধরেছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। বড় বড় শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন, দেখা করছেন অর্থনীতিবিদ-বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্টও করছেন টুইটারে।
এই সব বৈঠকে দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নেই কেন, সে প্রশ্ন গত কালই তুলেছে কংগ্রেস। আজ দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী প্রশ্ন তুললেন মোদীর ধারাবাহিক বৈঠক ও তাকে ঘিরে সরকারি প্রচার নিয়ে। আগামিকাল দুপুরে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। তার আগে রাহুল ‘অজ্ঞাতবাস’ থেকে দিল্লি ফিরে আসবেন বলে জানাচ্ছে কংগ্রেস সূত্র। ফেরার আগেই রাহুল আজ টুইটে বিঁধলেন মোদীকে। এবং বিঁধলেন ‘সুটবুট’ শব্দবন্ধটিকে ব্যবহার করে।
টুইটে মোদীর পোস্ট করা দু’টি ছবি দিলেন। প্রথমটি অম্বানী-টাটা-আদানিদের সঙ্গে। পরেরটি গত কাল নীতি আয়োগের বৈঠকের ছবি। দু’টি ছবি পাশাপাশি রেখে রাহুলের প্রশ্ন, ‘‘মোদীর এই সবিস্তার বাজেট আলোচনা শুধু মাত্র সুবিধাবাদী বন্ধু শিল্পপতি ও অতি-ধনীদের জন্যই সংরক্ষিত। কৃষক, ছাত্র, যুবক, মহিলা, সরকার, রাষ্ট্রায়ত্ত কর্মী, ছোট ব্যবসায়ী বা মধ্যবিত্ত করদাতাদের কথা শোনার আগ্রহই নেই।’’
আরও পড়ুন: জনগণনায় ৩১ প্রশ্নের তালিকা
এ বছরের বাজেট যখন ‘মোদীর বাজেট’ হতে চলেছে বলে খোদ সরকারই মেলে ধরার চেষ্টা করছে, সেই সময় আগেভাগে এটিকে ‘সুটবুট বাজেট’ নাম দিলেন রাহুল গাঁধী। সেই হ্যাশট্যাগ দিয়েই টুইট করেছেন তিনি। দলের নেতাদের রাহুল বুঝিয়েছেন, মোদী ধনীর পক্ষে আর কংগ্রেস গরিবের পাশে— এই অবস্থান নিয়েই এগোতে হবে। সিএএ নিয়ে বিজেপি যখন মেরুকরণের রাজনীতি করতে শুরু করে, তখনও রাহুল অবস্থান নেন, ‘সরকার গরিবের বিপক্ষে’। তাঁর বক্তব্য, কাগজ-প্রমাণপত্র না থাকা গরিবকেই নাগরিকত্ব প্রমাণের নামে হেনস্থা করবে মোদী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy